এক টেস্টে শতক ও ১০ উইকেট। এই কীর্তিতে কিংবদন্তি দুই অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের পাশে ২০১৪ সালে বসেছেন সাকিব আল হাসান। ছোট্ট এ তালিকায় নিজের নামটি লিখিয়ে নেওয়ার সুযোগ এসেছিল রবীন্দ্র জাদেজার হাতে। কিন্তু তিনি পারলেন না। শেষ পর্যন্ত শতক ও ৯ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে। মোহালিতে আজ সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ইনিংস ব্যবধানের জয়ে ১ উইকেটের আক্ষেপ রয়ে গেল জাদেজার।
৮ উইকেটে ৫৭৪ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২৮ বলে ১৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন জাদেজা। এরপর শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন তিনি। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে যায় ১৭৪ রানে। ৪০০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ১৫৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। আরও আগেই রোমাঞ্চ হারিয়ে ফেলা এ ম্যাচে তখন আগ্রহ ছিল শুধু জাদেজার আর একটি উইকেট পাবেন কি না, তা নিয়ে। কারণ, জাদেজার উইকেট তখন সব মিলিয়ে ৯টি।
শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে ১৭৮ রানে। কিন্তু শেষ দুটি উইকেটের একটিও পাননি জাদেজা। শেষ দুটি উইকেটের একটি নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন। শ্রীলঙ্কা তিন দিনের মধ্যেই ম্যাচটি হেরে গেছে ইনিংস ও ২২২ রানে। বোথাম, ইমরান ও সাকিবের পাশে বসতে না পারলেও ক্রিকেট রেকর্ড বইয়ের ছোট্ট আরেকটি তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন জা। এক টেস্টে শতক ও ৯ উইকেট পাওয়া চতুর্থ অলরাউন্ডার হয়ে গেছেন তিনি। এর আগে এ তালিকায় ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জেমস সিনক্লেয়ার, অস্ট্রেলিয়ার রিচি বেনো ও ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এক টেস্টে শতক ও ১০ উইকেট—এই কীর্তি সবার আগে গড়েছেন ইয়ান বোথাম। ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এ কীর্তি গড়েন তিনি। ভারতের বিপক্ষে প্রখম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার নিয়েছেন ৭ উইকেট। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছেন ১৪৪ বলে ১১৪ রান। ইমরানেরে কীর্তিটি তিন বছর পর, ভারতেরই বিপক্ষে। ফয়সালাবাদে ১৯৮৩ সালের সেই ম্যাচে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১১৭ রান করেছেন ইমরান খান। আর দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচই ১০ উইকেটে হেরেছিল ভারত।
সাকিবের কীর্তিটি ২০১৪ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। খুলনায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ৪৩৩ রান। সাকিব আল হাসান ১৮০ বলে করেন ১৩৭ রান। এরপর জিম্বাবুয়ের দুই ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নিয়ে বোথাম ও ইমরানের পাশে নাম লেখান সাকিব। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ১৬২ রানে।