>ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দেশের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনে বাজে আবহাওয়া বাগড়া বাধিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের তাতে এক রেকর্ডই হয়ে যাচ্ছে।
এ এক অদ্ভুত দিন। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামছে আয়ারল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ যা–ই করুক না কেন, ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে সেটিই। প্রথম চার, প্রথম ছক্কা কিংবা প্রথম উইকেট—এমনই সব রেকর্ডের যে স্বাদ আর কোনো ক্রিকেটারের পক্ষে পাওয়া সম্ভব হবে না। এমনকি শূন্য রানে ফেরাটাও প্রজন্মান্তরে উদ্যাপিত হবে অদ্ভুত এক আবেগে মাখামাখি হয়ে। তবে এসবই আয়ারল্যান্ডের নিজস্ব রেকর্ড। তবে মাঠে বল গড়ানোর আগেই অনন্য এক রেকর্ডের অংশীদার হয়ে গেছে আইরিশরা।
মজার ব্যাপার, রেকর্ডটা গড়া সম্ভব হয়েছে মাঠে বল গড়ানো সম্ভব হয়নি বলেই! পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ ডাবলিনের মেলাহাইডে ক্রিকেটের কুলীন সম্প্রদায়ের অংশ হচ্ছে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হতে দেয়নি বৃষ্টি। অঝোর ধারায় না নামলেও গুঁড়ি গুঁড়ি যে বৃষ্টি হচ্ছে, সেটাই আয়ারল্যান্ডকে সাদা পোশাকের ক্রিকেটের স্বাদ পেতে দেরি করে দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত প্রথম দিনের খেলা বাতিল হয়েছে। এই প্রথম কোনো দেশের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিন এভাবে বৃষ্টিতে ভেসে গেল। সংজ্ঞা অনুয়ায়ী একেই তো ইতিহাস বলে, নাকি?
ইতিহাসের প্রথম টেস্টেও কিন্তু সকালের সেশনে খেলা হয়নি। মেলবোর্নে ১৮৭৭ সালের সে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচিত একাদশ ব্যাটিং করতে নেমেছিল বেলা একটায়। এতে অবশ্য বৃষ্টির কোনো ভূমিকা ছিল না। এরপর আর কোনো অভিষেক টেস্টে খেলা শুরু হওয়ার জন্য দর্শকদের এমন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। অভিষেক টেস্ট–সংক্রান্ত যত ধরনের রেকর্ড হতে পারে, এর মাঝে সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটাই হয়তো হয়ে গেল আয়ারল্যান্ডের। অথচ গত এক সপ্তাহ রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ টেস্টে তাদের আনন্দময় এক অভিষেকেরই আভাস দিচ্ছিল।
ঐতিহাসিক দিনটা ভুলে যাওয়ার মতো এক দিনে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাস মিলিয়ে পুরো দিনের খেলাই পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া টস করতে নামতে পারেননি দুই দলের অধিনায়ক। আনুষ্ঠানিকভাবে চার দিনের টেস্টে রূপ নিয়েছে এই টেস্ট। ফলে ফলোঅনের নিয়মটা ২০০ রানের বদলে ১৫০ রানে নেমে আসবে।