>জসপ্রিত বুমরাকে এখন ওয়ানডে ফরম্যাটের সেরা পেসার মানেন না, এমন লোক বিশ্বে কমই আছে। অদ্ভুত অ্যাকশনের এই ভারতীয় পেসারকে মোকাবিলা করতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয় ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু প্রত্যেক বোলারের মতো বুমরারও কিছু দুর্বলতা আছে। কী সেটা? ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা চেয়েছেন সেটা বের করতে
রানবন্যার বিশ্বকাপে এবার গতিময় পেসারদের মূল্য বেড়েছে। সব দলই চেষ্টা করেছে নিজেদের সবচেয়ে দ্রুতগতির পেসারকে দলে নিতে। ফাস্ট বোলারদের মাঝেও তুলনা চলছে এখনই। সাবেক গতিদানব ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজের প্রথম পছন্দ হিসেবে স্বদেশি স্টার্ক-কামিন্সদের চেয়েও এগিয়ে রাখছেন ভারতের জসপ্রীত বুমরাকে। ব্যতিক্রমী অ্যাকশনের এই পেসারে মুগ্ধ ব্রায়ান লারাও।
কোন পেসারকে কীভাবে সামলাতে হবে, কার সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সেটা কিছুক্ষণ খেলেই ধরে ফেলতেন লারা। বুমরার বোলিং দেখেও তাঁকে মোকাবিলা করার একটা কৌশল বের করে ফেলেছেন লারা। লারার মতে, বুমরাকে উল্টো আক্রমণ করলে কোনো লাভ হবে না, উল্টো নিজের উইকেট খোয়াতে হবে।
লারার মতে নিয়মিত স্ট্রাইক বদল করলে বুমরার মনোবল ভেঙে দেওয়া সম্ভব, ‘যদি সম্ভব হতো, আমি পারলে বুমরার মুখোমুখিই হতাম না! সে অনেক ভালো একজন পেসার, যার অদ্ভুত একটা অ্যাকশন আছে। আমি ওর মোকাবিলা করলে ওর চোখের দিকে তাকিয়ে ওর প্রতিটা পদক্ষেপ ভালো করে দেখতাম। আর প্রতি আক্রমণ না করে বারবার স্ট্রাইক বদল করতাম। ওয়ানডেতে টি-টোয়েন্টির তুলনায় স্ট্রাইক বদল করার অনেক সুযোগ আছে। আপনি দরকার হলে অন্য বোলাররে ওপর চড়াও হন। বুমরার বলে চড়াও হতে গিয়ে লাভ নেই।’
বুমরার সুনাম করতে গিয়ে মুত্তিয়া মুরালিধরন ও সুনীল নারাইনের সঙ্গে তুলনা দিয়েছেন লারা, ‘আগে দেখা যেত, ব্যাটসম্যানরা মুরালিধরন ও নারাইনদের মতো বোলারকে আক্রমণ করতে চাইছে কিন্তু পারছে না। বুমরাও অনেকটা সেই ধরনের খেলোয়াড়। প্রতি আক্রমণ করে ওর সঙ্গে পারবেন না আপনি। আমি উল্টো ব্যাটসম্যানদের পরামর্শ দেব, চার-ছয় না মারার চেষ্টা করে দরকার হলে বুমরার ছয় বলে ছয়টা সিঙ্গেল নাও। এভাবেই ওর ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে। ওর মতো বোলারের একটা দিন খারাপ যেতে পারে, তবে সব দিন খারাপ যাবে, এ আশা করা ভুল।’