কলকাতা টেস্টের প্রথম দিনে ইডেন গার্ডেনস যেন পরিণত হয়েছিল এক টুকরো বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। ২০০০ সালে অভিষেক টেস্টের দলে থাকা খেলোয়াড়েরা এসেছিলেন। বিসিবির শীর্ষ কর্তারা এসেছিলেন। সহস্রাধিক দর্শক তো ছিলই।
প্রধানমন্ত্রী কালই ফিরে গেছেন দেশে। সাবেক খেলোয়াড়দের যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা আজও কলকাতায় ছিলেন। তবে মাঠমুখো আর হননি। সন্ধ্যায় এলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী ও বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস। সবার মুখ শুকনো। মাঠে বাংলাদেশের যে পারফরম্যান্স, তাতে মুখে হাসি থাকার কথাও নয়।
দিনের খেলা শেষে হোটেলে ফেরার পথে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের জানিয়ে গেলেন চমকে দেওয়া এক তথ্য। বাংলাদেশের নাকি কলকাতা টেস্টে টস জিতলে বোলিং নেওয়ার কথা ছিল! অথচ নেওয়া হয়েছে ব্যাটিং। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে নাজমুল বেশ ধাক্কা খেয়েছেন, ‘ব্যাটিং নেওয়ায় সত্যিই আশ্চর্য হয়েছি। আগের দিনও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। কোচ-অধিনায়ক দুজনই বলেছে ফিল্ডিং নেবে। এটা নিশ্চিত ছিল। টস জিতে যখন দেখেছি ব্যাটিং নিয়েছি, তখনই ধাক্কা খেয়েছি। অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে কিনা জানি না। ভারতীয়দের যার সঙ্গেই কথা বলেছি, বলেছে তারা প্রথমে ফিল্ডিং নিত। ওরা ব্যাটিং কখনোই নিত না। সতেজ উইকেট। গোলাপি বল কেমন আচরণ করে সেটা না বুঝে ভারত আগে ব্যাটিং নিত না।’
নাজমুল হতাশ হয়েছেন দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে, ‘আমাদের যারা সিনিয়র আছে, ওরা যত ভালো বোলিং করুক তাদের কাছে যে প্রত্যাশা ছিল সেটি কিছুই পূরণ হয়নি। এ কারণে প্রথম ইনিংসে ভালো করিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো হয়নি। আমাদের সিনিয়র চারজন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুল-ইমরুল…। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ ভালো খেলছিল আজ। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ চোটে পড়ছে। ওর চোটটা গুরুতর। ও যদি সুস্থ হয়ে যায় কাল নামবে।’