বিসিবির ভাবনায় ছিলেন তিনি, রাখা হয়েছিল বোলিং কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও। কিন্তু আজ জানা গেল, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার শন টেইট বোলিং কোচের চাকরি নিয়েছেন পাকিস্তানে।
ওটিস গিবসন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব ছাড়ার ঠিক পরপরই বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ হয়ে আসেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার শন টেইট। বাংলাদেশে পা রেখেই একটি প্রশ্ন শুনতে হয়েছিল তাঁকে। সেই প্রশ্ন বিপিএল–টিপিএল নিয়ে নয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা টেইটকে প্রশ্ন করেছিলেন—বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের পদটি তো এখন শূন্য, সুযোগ পেলে সেই চাকরিটি তিনি করতে চান কি না!
এমন প্রশ্নের উত্তরে আর পাঁচজনের মতো টেইটও তখন বলেছিলেন, ‘আমি অবশ্যই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। বিসিবির বিষয়টি নিয়ে ভাবার যথেষ্ট সময় আছে। আমার জন্য এটা দারুণ চাকরি হবে।’ সেই সময় তিনি তরুণ পেসার ইবাদত হোসেন, শরীফুল ইসলামসহ বাংলাদেশের পেস বোলারদের প্রশংসাও করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালোই লাগবে, এমনটাও বলেছিলেন টেইট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও সেই সময় বলেছিলেন, বিসিবি দলের জন্য ভালো একজন পেস বোলিং কোচ খুঁজছে। টেইট তাঁদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন। কিন্তু টেইটকে আর পাওয়া হচ্ছে না বিসিবির। এক বছরের জন্য পাকিস্তান দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন। ইউনুস বিষয়টি নিয়ে বলেন, বিসিবি টেইটের এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। টেইটের এজেন্টের গতকালই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আজ এক বছরের জন্য দলের কোচিং প্যানেল ঘোষণা করেছে। সাকলায়েন মুশতাককে আরও এক বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে রাখা হয়েছে। একই সময়ের জন্য টেইটকে করা হয়েছে ফাস্ট বোলিং কোচ আর মোহাম্মদ ইউসুফকে ব্যাটিং কোচ করা হয়েছে আসছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য।
মিসবাহ–উল হক ও ওয়াকার ইউনিস পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও বোলিং কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁদের জায়গায় সাকলায়েন ও আবদুল রাজ্জাককে নেয় পিসিবি। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে পাঁচটি পদে কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল তারা। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদন করে বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন টেইট। বাকি পদে কোচ নেওয়া হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে।