>কনুইয়ের চোটে পড়ে বিপিএল থেকে দ্রুতই অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন স্টিভেন স্মিথ। বল টেম্পারিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ থাকা এই তারকার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে সামনের মাসে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও তাড়াহুড়ো করে স্মিথকে মাঠে নামানোর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া, ফলে হয়তো বিশ্বকাপটা না-ও খেলতে পারেন এই অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক।
কনুইয়ের চোটে পড়ে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই স্টিভেন স্মিথের বিপিএল অভিযান শেষ হয়েছে এবার। কনুই সারানোর জন্য শল্যবিদের ছুরির নিচে যাওয়া স্মিথ এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। পুরোপুরি সারতে দুই-এক মাসের মতো সময় লাগবে। এদিকে সামনে বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপের পরপরই অ্যাশেজ। এদিকে শোনা যাচ্ছে, অ্যাশেজে ঝরঝরে, সুস্থ স্মিথকে পেতে বিশ্বকাপে তাঁকে না-ও খেলাতে পারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
বল টেম্পারিংয়ে অপরাধে এক বছর আন্তর্জাতিক ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ফেরার কথা মার্চের ২৯ তারিখে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে স্মিথ-ওয়ার্নার ফিরবেন, এমনটা ভেবে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকেরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। নিষিদ্ধ থাকার সময়টায় যাতে নিজের ফিটনেস ঠিক থাকে, এ জন্য বিপিএল খেলতে এসেছিলেন স্মিথ, আর এখানেই বাঁধল গন্ডগোল। কনুইয়ের চোটে পড়ে বিপিএলও ভালোভাবে খেলা হলো না, ঠিকভাবে অনুশীলনও হলো না। উল্টো নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও স্মিথ আদৌ কবে মাঠে ফিরবেন, এ নিয়ে দেখা যাচ্ছে সংশয়। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড তাড়াহুড়ো করে স্মিথকে মাঠে ফেরাতে চাচ্ছে না।
চোট থেকে ফিরেই স্মিথকে দলে ঢোকানো হবে না, এমনটাই আভাস দিয়েছেন দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ‘প্রথমে দেখতে হবে তার চোটের কি অবস্থা। দলে ঢোকার আগে বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে হবে তাদের, ছন্দে ফেরার জন্য। এসব কিছুই ম্যানেজমেন্টের অংশ, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে কি হয় না হয়। সামনে অনেক ব্যস্ত সূচি আমাদের। বিশ্বকাপ ছাড়াও অ্যাশেজ আছে, বিশ্বকাপের আগে আরব আমিরাতে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আছে। এই অবস্থায় দলের জন্য যেটা ভালো, সেটাই করতে হবে আমাদের।’
তবে ব্যস্ত শিডিউল হলেও সব ট্রফি জেতার সামর্থ্য এই অস্ট্রেলিয়ার আছে বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার, ‘বিশ্বকাপের পরপরই অ্যাশেজ, বিষয়টা বেশ আশ্চর্যজনকই বলা চলে। কিন্তু আমরা সৌভাগ্যবান, এই ব্যস্ত শিডিউলে খেলানোর মতো যথেষ্ট খেলোয়াড় আমাদের আছে। তাই দলের জন্য যেটা ভালো, যারা খেললে দলের ভালো হবে আমরা সেই একাদশ নিয়েই খেলব। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে প্রত্যেকটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক, বা কোন টুর্নামেন্ট হোক, বা ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ হোক। জাতীয় দলে জায়গা পাকা করার জন্য প্রত্যেকটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’
স্টিভেন স্মিথকে বিশ্বকাপের সময়ে না খেলিয়ে একেবারে অ্যাশেজের জন্য প্রস্তুত করার কথা ভাবছে অস্ট্রেলিয়া। যখন অস্ট্রেলিয়া দল বিশ্বকাপ খেলবে, স্মিথকে তখন দেখা যেতে পারে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে, বা অস্ট্রেলিয়া 'এ' দলের হয়ে খেলতে। স্মিথকে নিয়ে একদমই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয় অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড।