>বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের হাতে চোট পাওয়ার ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। কাল বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে চোট পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। একই দিন অস্ট্রেলিয়ার নেট অনুশীলনে হাতে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছেন শন মার্শ। একই নেট অনুশীলনে হাতে আঘাত পেয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও
বিশ্বকাপে বল আর ব্যাটসম্যানদের হাতের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক বেড়েই চলছে। বল পেটানোর জন্য আর সসে কাজটা সেরে থাকে ব্যাটসম্যানদের হাত। কিন্তু কখনো কখনো এর উল্টোও ঘটতে পারে। ম্যাচে নামার আগে অনুশীলনে একটু অসতর্কতা থেকে হাতে ছোবল মারতে পারে বল। মুশফিকুর রহিমের কথাই ধরুন। বেচারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে নেটে ব্যাটিং অনুশীলনে বলের আঘাত পেয়েছিলেন হাতে। এখানেই শেষ নয়। চোট পেয়েছেন কাল লর্ডসেও ব্যাটিং অনুশীলনেও এবং সেটাও সেই হাতেই।
মুশফিকের খেলা নিয়ে তবু কিছুটা আশা করা যায়। কিন্তু শন মার্শকে নিয়ে কোনো আশা নেই। হাতের কবজি ভেঙে নিয়ে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এ ব্যাটসম্যান। বাধ্য হয়ে তাঁর জায়গায় পিটার হ্যান্ডসকম্বকে দলে ডেকেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে হ্যান্ডসকম্বকে না রেখে চমক উপহার দিয়েছিলেন নির্বাচকেরা। এ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছিল বেশ। ভাগ্য শেষ পর্যন্ত তাঁকে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা সুযোগ করে দিল। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের সঙ্গে হ্যান্ডসকম্ব এখন ইংল্যান্ডেই অবস্থান করছেন। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়া গ্রুপপর্বে শেষ ম্যাচটি খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাল অস্ট্রেলিয়ার নেট অনুশীলনে বড় চোট পেতে পারতেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। মিচেল স্টার্কের উঠে আসা একটি ডেলিভারি খেলতে গিয়ে ডান হাতে আঘাত পান ম্যাক্সওয়েল। ব্যথায় হাত ধরে সেখানেই প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মতো কাতরেছেন এ অলরাউন্ডার। পরে স্ক্যান করে দেখা গেছে, চোটটা দুশ্চিন্তা করার মতো কিছু নয়। ম্যাক্সওয়েল চোট পেয়ে নেট ছাড়ার পর তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে নামেন মার্শ। কয়েক মুহূর্ত পরই প্যাট কামিন্সের একটি ডেলিভারি সামলাতে না পেরে ডান হাতের কবজিতে আঘাত পান তিনি। এতে তাঁর কবজি ভেঙে যায়।
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলেছেন মার্শ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩ রানের পর ৩ রান করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।