ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে রান বন্যা হবে, এ ভবিষ্যদ্বাণী করে রেখেছেন সবাই। বোলারদের মূল দায়িত্ব হবে রান আটকানো। তবে মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট তুলে নিতে পারার ক্ষমতাকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন সবাই। আর সে ক্ষেত্রে ফাস্ট বোলারদের ওপরই আস্থা রাখছেন বিশ্লেষকেরা।
২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ব্রেট লির ওপর। গতির তোড়ে প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়াটাই ছিল তাঁর কাজ। ইংল্যান্ডের উইকেটে এবার সে দায়িত্বটা পালন করতে হবে বর্তমান যুগের ফাস্ট বোলারদের। আর এ কাজে তিনজন পেসারকে বেশি পছন্দ হয়েছে ব্রেট লির।
না, অন্য সব বিশ্লেষকদের চমক জাগানোর কোনো চেষ্টা ব্রেট লি করেননি। এ বিশ্বকাপের সেরা পেসার নিয়ে আলোচনা উঠলে যে তিনজনের নাম সবার মুখেই শোনা যাচ্ছে তাঁদের নামই বলেছেন ব্রেট লি। সবার প্রথমেই আছেন জসপ্রীত বুমরা। প্রচণ্ড গতির সঙ্গে নিখুঁত ইয়র্কারে ওয়ানডেতে গত এক বছরের সেরা বোলার হয়ে উঠেছেন বুমরা। ভারতীয় পেসারের প্রশংসায় ব্রেট লি তাই কোনো বাধ মানেননি, ‘কী অসাধারণ বোলার।’ ৪৯ ওয়ানডেতে ৮৫ পাওয়া বুমরাকে বেছে নেওয়ার কারণটা এক বাক্যে বলে দিয়েছেন লি, ‘ওর দারুণ রেকর্ড আছে, দুর্দান্ত ইয়র্কার আছে, আছে গতি।’
ব্রেট লির পরের পছন্দও চেনা মুখ মিচেল স্টার্ক। গত ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় মাঝে চোটাঘাতে ফর্ম হারিয়ে ফেলেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতেও নতুন করে চোট পেয়েছেন। কিন্তু লি স্বদেশি বোলারকে রাখছেন নিজের সেরা তিনে, ‘মিচেল স্টার্ককে রাখতেই হবে। ওর এখনো সে দক্ষতা আছে। ও যখন নিজের গতিটা পায় তখন ওকে খেলা খুব কঠিন।’ ২০১৫ বিশ্বকাপে ১০ গড়ে ২২ উইকেট পাওয়া স্টার্ক তাই প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য চিন্তার কারণ হবে বলে মনে করেন লি।
বুমরা ও স্টার্কের পর লি তৃতীয় পছন্দ হিসেবে স্বদেশি আরেকজনকে বেছে নিয়েছেন। গত এক বছরে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার ছিলেন প্যাট কামিন্স। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে কামিন্সের অবদানই বেশি। এ বছর মাত্র ৬ ম্যাচে ১৪.২৯ গড়ে ১৭ উইকেট পেয়েছেন কামিন্স। লির তৃতীয় পছন্দ তাই কামিন্স,‘ প্যাট কামিন্স: পেস, অ্যাকুরেসি, বৈচিত্র্য। ওর সব আছে, সব পারে।’