স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের পরের অংশ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে
স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের পরের অংশ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে

বিশ্বকাপের আগে আইপিএল ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করবে

আইপিএল এবার ভারতে ফিরেছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও হওয়ার কথা ছিল সেখানেই। তবে ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বদলে দিয়েছে সব। এপ্রিলে শুরু আইপিএল মের শুরুতে স্থগিত হয়ে গেছে, পরের অংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও বিসিসিআইয়ের আয়োজনেই হবে আরব আমিরাতের সঙ্গে ওমানে।

নিশ্চিতভাবেই ‘দেশের মাটির সুবিধা’ হারাচ্ছে ভারত। তবে অন্য দলগুলোর জন্য এই ভেন্যু পরিবর্তনের একটা সুবিধাও দেখছেন অস্ট্রেলিয়া অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বলছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু বদল একটা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করবে দলগুলোর জন্য। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই আইপিএল হওয়ায় সেটা সব দলকেই কমবেশি সুবিধা দেবে বলেও মনে করেন তিনি।

আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর ব্যক্তিগত কারণে অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরে ছিলেন না ম্যাক্সওয়েল। নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্সরাও। চোটের কারণে ছিলেন না স্টিভ স্মিথ, একই কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই ফিরে গিয়েছিলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

গত এপ্রিলে আইপিএলেই সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচ খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল

তবে তাঁদের সবাই ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে। এর আগে আইপিএলেও খেলবেন ম্যাক্সওয়েল-ওয়ার্নাররা। আইসিসির সঙ্গে কথা বলার সময় ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, আইপিএল তাঁদের জন্য হবে বিশ্বকাপের দারুণ এক প্রস্তুতির মঞ্চ, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে, আইপিএলে প্রস্তুতির সুযোগ পাচ্ছে আমাদের অনেকেই। এমন কন্ডিশনে কয়েকটা ম্যাচ আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য জাদুর মতো কাজ করবে। আমাদের বোলাররা উজ্জীবিত থাকবে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আগুনে ফর্মে থাকবে। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি, সবাই খেলার জন্য মুখিয়ে আছে।’

শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, প্রায় সব দলই আইপিএল থেকে কমবেশি সুবিধা পাবে বলেও মনে করেন ম্যাক্সওয়েল, ‘বিশ্বকাপে খেলবে, এমন অনেক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ই আছে আইপিএলে। আমার মনে হয়, এটা একটা “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” তৈরি করবে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়াটাও একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার মতো ব্যাপার। কারোরই এখন আর ঘরের মাঠের সুবিধা বলে কিছু থাকবে না।’
এমনিতে অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটা আক্ষেপের নামই। ওয়ানডেতে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এ সংস্করণে শিরোপা জেতেনি একবারও।

ম্যাক্সওয়েলদের ছাড়াই বাংলাদেশে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া

ম্যাক্সওয়েলের আশা, ইতিহাসটা বদলাবে এবার, ‘আমাদের লাইনআপের দিকে তাকালে দেখবেন, সেটা ম্যাচ জেতানোর মতো খেলোয়াড় দিয়ে ভর্তি। নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য আছে তাদের। আমার মনে হয়, এটাই প্রয়োজন। যেকোনো দিন আমাদের যে কারও জন্য সুযোগ আসতে পারে ম্যাচ জেতানোর। সেটা নিতে পারলে আমাদের থামানো কঠিন হবে যেকোনো দলের জন্যই।’

এ জন্য অবশ্য টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো করা দরকার বলে মনে করেন ম্যাক্সওয়েল, ‘বিশ্বকাপে মূল ব্যাপারটা হবে ভালো শুরু করা। টুর্নামেন্টের শুরুতেই যে দল ভালো করে, যাদের দু-একজন জ্বলে ওঠে, কজন ব্যাটসম্যান ভালো ফর্মে থাকে, বোলাররা দ্রুত উইকেট নিতে পারে—তারাই এসব টুর্নামেন্ট জেতে।’

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচ ২৩ অক্টোবর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।