২০১২ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়ায় চার-ছক্কার ধুন্ধুমার আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট (বিপিএল)। প্রথম আসরেই পেয়ে যায় তুমুল দর্শকপ্রিয়তা। পরের বছরও মাঠে গড়ায় বিপিএলের দ্বিতীয় আসর। এরপর ফিক্সিং কেলেঙ্কারির জেরে দুই বছর বন্ধ থাকে এ টুর্নামেন্ট। ২০১৫ সালে দ্বিতীয় দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত নিষ্কলঙ্ক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই লিগ। আজ শেষ হলো বিপিএলের ষষ্ঠ আসর।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ১৭ রানের জয়ের ফাইনাল শেষে একটু মনে করে দেখা যাক বিপিএল ধরা দিয়েছিল কোন দলগুলোর হাতে:
২০১২ সাল, চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৪০ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। ১৫.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় মাশরাফি বিন মুর্তজার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ঢাকা দলের হাতেই শোভা পায় বিপিএলের প্রথম আসরের শিরোপা।
২০১৩ সাল, চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স
প্রথমে ব্যাট করে ১৭২ রান সংগ্রহ করে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ১৬.৫ ওভারে ১২৯ রানেই থেমে যায় চিটাগং কিংসের ইনিংস। ৪৩ রানের জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা।
২০১৫ সাল, চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস
প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৫৬ রান করে বরিশাল বুলস। শুরুটা ভালো করেও শেষ দিকে বিপদে পড়েছিল কুমিল্লা। অলক কাপালির ঠান্ডা মাথার এক ইনিংসে শেষ বলে জয় পায় দলটি। প্রথমবারের মতো বিপিএলে এসেই চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
২০১৬ সাল, চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডায়নামাইটস। সে রান তাড়া করতে নেমে রাজশাহী কিংস ১৭.৪ ওভারে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৫৬ রানের জয়ে বিপিএলের চতুর্থ আসরেই তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকা।
২০১৭ সাল, চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলতে সমর্থ হয় ঢাকা ডায়নামাইটস। ৫৭ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায় রংপুর।
২০১৯ সাল, চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস
তামিম ইকবালের অবিশ্বাস্য ১৪১ রানের ইনিংসে ১৯৯ রান তোলে কুমিল্লা। সে রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮২ রান তোলে ঢাকা ডায়নামাইটস।