এলিমিনেটর পর্বে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে চিটাগং। এই হারে বিপিএল থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল চিটাগংয়ের। ঢাকা জিতে সুযোগ করে নিল কোয়ালিফাইয়ারে।
সাকিব আল হাসান শূন্য রানে ফিরেছেন। কিন্তু তাতে কি! ম্যাচটা যে তার আগেই নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। অধিনায়কের ব্যাটিং-ব্যর্থতা তাই খুব বড় হয়ে দেখা দেয়নি। বিপিএলের এলিমিনেটর পর্বে চিটাগং ভাইকিংস ব্যাটিংটা এত বাজে করল যে ঢাকাকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে জায়গা করে নিতে। উপুল থারাঙ্গার দুর্দান্ত একটা ইনিংসকেও ধন্যবাদ জানাতে পারে সাকিবের দল। সঙ্গে সুনীল নারাইনের অলরাউন্ড নৈপুণ্য। চিটাগংয়ের দেওয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ঢাকা পা রেখেছে ২০ বল হাতে রেখেই, ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন একটু থাকতে পারে। চিটাগংয়ের ১৩৫ রানে থেমে যাওয়ার জন্য অনেকেই উইকেটের দোষ খুঁজতে পারেন। ঢাকার থারাঙ্গা, নারাইনরা বুঝিয়ে দিয়েছেন উইকেট-টুইকেট কোনো সমস্যা না, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানরাই আসলে আজ দাঁড়াতে পারেননি। ওপেনিংয়েই ৪.৩ ওভারে ৪৪ রান তুলে ম্যাচের গতি-প্রকৃতি ঠিক করে দেন লঙ্কান তারকা থারাঙ্গা আর ক্যারিবীয় নারাইন। থারাঙ্গা ৪৩ বলে ৫১ রান করেন ৭টি বাউন্ডারিতে। নারাইন মাত্র ১৬ বলে ৬টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৩১। থারাঙ্গাকে থামান তাঁরই স্বদেশি শানাকা, নাঈম হাসানের ক্যাচে। নারাইন আউট হন খালেদের বলে, ওই নাঈমের ক্যাচ হয়েই।
দুই বিদেশির ফেরার মাঝখানে রনি তালুকদার ১৩ বলে ২০ রান করে আউট হন। একটি চার আর একটি ছক্কায় উইকেট পড়ার চাপ দলের ওপর পড়তে দেননি তিনি। খেলাটা শেষ করে আসেন নুরুল হাসান কাইরন পোলার্ডকে সঙ্গে নিয়ে। নুরুল ২০ বলে করেন ২০ রান। পোলার্ড ৭।
চিটাগংয়ের বড় আশা ছিল রবি ফ্রাইলিংকের কাছে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তিনি আজ বল হাতেও ব্যর্থ। এক ওভারে ১৩ রান দেওয়ার পর তাঁকে বোলিংয়েই আনেননি চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রোটিয়া বোলার হার্ডাস ভিলিওনও ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট-শূন্য। নাঈম হাসান ১ উইকেট পেলেও ৩ ওভারে দিয়েছেন ২৮। তবে খালেদ নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হতেই পারেন। এই অবস্থায় ৩ উইকেট নেওয়াটা যেকোনো বিচারেই ভালো। তবে এই তরুণ ফাস্ট মিডিয়াম বোলার চিটাগং সমর্থকদের আফসোসটা বাড়িয়েছেন। আর ৩০-৪০টা রান বেশি হলেই যে ম্যাচটা দুর্দান্ত হতে পারত!