বিপিএলের ফাইনালে আজ খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতল রাজশাহী রয়্যালস
খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস ফাইনালে ওঠার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এবার বিশেষ বিপিএলে দেখা মিলছে নতুন চ্যাম্পিয়নেরও। আজ ফাইনালের লড়াই শেষে দেখা মিলল নতুন ‘রাজা’-র। রাজা মানে রয়্যালসের ঘরেই উঠেছে শিরোপা। খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতল রাজশাহী রয়্যালস।
মোহাম্মদ নওয়াজ ও আন্দ্রে রাসেলের শেষ দিকের ঝড়ে সংগ্রহটা শক্ত অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল রাজশাহী। জয়ের জন্য খুলনাকে ১৭১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল তারা। ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে থেমেছে খুলনার ইনিংস। তবে খুলনা এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ ওভার শেষেও জয়ের পথে ছিল। কিন্তু ১৪তম ওভারে কামরুল ইসলাম খুলনার ‘সেট’ ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান (৪৩ বলে ৫২) ও নজিবুল্লাহ জাদরানকে তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। মুশফিকুর রহিম শেষ চেষ্টা করেছিলেন। তবে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকতে না পারায় পথচ্যূত হয় খুলনা। ১৫ বলে ২১ রানের ইনিংসটিতে মুশফিকের আক্ষেপই হবে সবচেয়ে বেশি।
শেষ ৫ ওভারে ৬০ রান দরকার ছিল খুলনার। মুশফিকের সঙ্গে উইকেটে ছিলেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক। লক্ষ্যটা কঠিন হলেও উইকেটে মুশফিক থাকায় আশা ছিল খুলনা সমর্থকদের। কামরুল ইসলামের করা ১৬তম ওভারে ৯ রান আসায় শেষ ৪ ওভারে সমীকরণ নেমে আসে ৫১ রানে। এখান থেকে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফানের করা ১৭তম ওভার থেকে ১১ রান নিয়ে শেষ অঙ্কে জমজমাট ফাইনালের আভাস দেন মুশফিক। ম্যাচ ১৮ বলে ৪০ রানের সমীকরণে থাকতে বল করতে আসেন রাজশাহী অধিনায়ক রাসেল। এরপরই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়।
১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কায় তুলে নেন মুশফিককে। অধিনায়কে অধিনায়ক বধ! মুশফিক আউট হওয়ার মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। খুলনা ১২ বলে ৩১ রানে পিছিয়ে থাকতে ফ্রাইলিঙ্কের সঙ্গে এসে যোগ দেন পেসার শহীদুল ইসলাম। ১৯তম ওভারে ইরফান এসে তুলে নেন ফ্রাইলিঙ্ককে (১৫ বলে ১২)। ওই ওভারে ১ রানে ১ উইকেট নেন ইরফান। ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার। ২৯ রানে ২ উইকেট কামরুল ইসলামের। ২ উইকেট নেন রাসেলও।
এর আগে নিজেদের ইনিংসে প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল খুলনা। শামসুর রহমান ও রাইলি রুশো মিলে ৫৪ বলে ৭৪ রানের জুটিতে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। ২৬ বলে ৩৭ রান করা রুশো নওয়াজকে সোজা তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেলকে। শামসুর আরেক প্রান্তে ভালো খেললেও আউট হন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।