ভিডিও বার্তায় নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন সাকিব।
ভিডিও বার্তায় নিজের বক্তব্য  জানিয়েছেন সাকিব।

বিতর্কের জবাবে ক্ষমা চাইলেন সাকিব

নিষেধাজ্ঞা শেষে দেশে ফেরার পর থেকেই একের পর এক ঘটনায় বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। ৫ নভেম্বর দেশে ফিরে পরদিনই তিনি জনসমাগমে গিয়ে একটি সুপারশপ উদ্বোধন করেন। এরপর কলকাতায় যান ঝটিকা সফরে।

সংবাদমাধ্যমের খবর, সাকিব কলকাতায় গিয়েছিলেন পূজা উদ্বোধন করতে। পূজার আয়োজকেরাও সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য দিয়েছেন। অনুষ্ঠানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

সাকিবের পূজা উদ্বোধন করা দেশে অনেকেই সহজভাবে নিতে পারেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক দিন ধরেই হচ্ছে তীব্র সমালোচনা। এর মধ্যেই গতকাল রাতে সিলেটের এক তরুণ ফেসবুক লাইভে এসে সাকিবকে হত্যার হুমকি দেন। তবে সাকিবের দাবি, কলকাতায় তিনি পূজা উদ্বোধন করতে যাননি।

অনুশীলনে সাকিব আল হাসান।

আজ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিও বার্তায় সাকিব বলেন, ‘আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান মনে করি। আমি সেটাই চেষ্টা করি পালন করার। ভুলত্রুটি হবেই, ভুলত্রুটি নিয়েই আমরা জীবনে চলাচল করি। আমার কোনো ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। খবর কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবখানে এসেছে, আমি নাকি পূজার উদ্বোধন করতে গিয়েছি। আমি কখনোই পূজার উদ্বোধন করিনি বা উদ্বোধন করতে যাইনি।’

কলকাতায় সাকিব যেখানে গিয়েছিলেন, তার পাশেই নাকি পূজামণ্ডপ ছিল। নিজের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে আয়োজকদের অনুরোধেই নাকি পূজায় যেতে হয় তাঁকে, ‘অনেক সাংবাদিক ভাইবোনেরা ওখানে ছিলেন। আপনারা ইনভাইটেশন কার্ডও যদি দেখেন, ওখানেই লেখা আছে কে উদ্বোধন করেছেন। যেখানে আমাদের অনুষ্ঠান হয়েছে, সেটি পূজামণ্ডপ ছিল না। পাশে আরেকটি মঞ্চ ছিল। পুরো অনুষ্ঠান সেখানে হয়। ৪০-৪৫ মিনিটব্যাপী অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম এবং সেখানে ধর্ম-বর্ণ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে যখন গাড়িতে উঠতে হবে, যেহেতু পাশেই পূজার আয়োজন ছিল, অনেক রাস্তা বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবে মণ্ডপ পেরিয়ে আমাকে যেতে হতো। যাওয়ার সময় পরেশদা, যিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাঁর আমন্ত্রণে আমি প্রদীপ প্রজ্বালন করি।’

বেনাপোল বন্দর হয়ে কলকাতায় যাওয়ার পথে সাকিব এক ভক্তের মুঠোফোন ছুড়ে ফেলেছিলেন, আছে এমন অভিযোগও। এটারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার, ‘যার ফোন ভাঙা নিয়ে কথা হচ্ছে, তার ফোনটা কখনোই ইচ্ছেকৃতভাবে ভাঙিনি। যেহেতু করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি আছে, সেটা মেনে চলার চেষ্টা করছিলাম। কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রেখে চলা যায়, সেটা চেষ্টা করছিলাম। যেহেতু অনেক মানুষ ছিল এবং ভিড় ছিল, সবাই চেষ্টা করছিল ছবি তুলতে। আমিও চেষ্টা করছিলাম কীভাবে তাদের কাছে না গিয়ে আমার কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে পারি ইমিগ্রেশনের। একজন একদম আমার শরীরের ওপর দিয়ে এসে ছবি তুলতে চায়। আমি তাকে সরিয়ে দিতে গেলে তার হাতের সঙ্গে আমার হাত লেগে ফোনটি পড়ে যায়। পরে হয়তো ভেঙেও যায়। তার ফোন ভাঙার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু আমার মনে হয়, তারও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। এই করোনার সময়ে সবারই সেটা করা উচিত।’