>চতুর্থ ওভারের ওই বিতর্কিত ঘটনার পর থেকেই যেন বাংলাদেশ দলকে ভূতে পেয়েছিল। ২ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলল ৩ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। ১ উইকেটে ৬৫ তুলে ফেলা বাংলাদেশ তখন ৪ উইকেটে ৬৬। ওই ঘটনার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজও তেতে উঠেছিল বলে মনে করেন কোচ স্টিভ রোডস
শেষ পর্যন্ত কি ভুল আম্পায়ারিংয়ের খেসারত বাংলাদেশকেই দিতে হলো? যদিও আপাতদৃষ্টিতে ঘটনার সুবিধাভোগী দল বাংলাদেশই, কিন্তু ওই বিতর্কিত ঘটনার ফলে যা হয়েছে, তাতে শেষ পর্যন্ত পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকেই। খেলার বিরতি বাংলাদেশ দলকে ভুগিয়েছে। ৪ ওভারে ১ উইকেটে ৬২ রান তুলে ফেলা বাংলাদেশ এরপর পথ হারিয়েছে। আর উজ্জীবিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেখান থেকে দারুণ লড়াই করে বের করে নিয়ে গেছে ম্যাচ।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডসও জানালেন, তাঁর মতে, মাঝখানের ওই অপ্রত্যাশিত ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ওপর, ‘অবশ্যই। আপনি যদি ম্যাচটা ভালোভাবে দেখেন, যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল। ম্যাচের নাটাই তাদের দিকেই ছিল। এরপর আমরা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসি। আমাদের ইনিংস শুরুর সময় মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে ছিল। এরপর ম্যাচের মাঝে খেলার বিরতিতে অবশ্যই মোমেন্টাম ওদের দিকে চলে গেছে। আমি আমাদের খেলোয়াড়দের শান্ত রাখার চেষ্টায় ছিলাম। চেষ্টা করেছি মাঠে বার্তা পাঠাতে, বলতে চেয়েছি, ম্যাচে আমরা বেশ ভালো অবস্থায় আছি। খেলা শুরু হলে তোমরা যেন মনোযোগ ধরে রেখে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে যাও। তবে ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যখন এমন বার্তা দেওয়ার পরও উল্টোটা হতে পারে। এটাই আমাদের হয়েছে, আমরা একের পর এক উইকেট হারিয়েছি।’
শুধু বাংলাদেশ দল মনোযোগ হারায়নি, ওই ঘটনা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ উজ্জীবিত লড়াই করেছে বলেও মনে করেন কোচ, ‘আম্পায়ারদের নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কোচ হিসেবে সেটা করা ঠিকও হবে না। কী হয়েছে সবাই তা দেখেছে। টিভিতেও অনেকে দেখেছেন কী হয়েছে। তাঁরা তাঁদের রায় দিতে পারেন। তবে আমি এতটুকু বলতে পারি, এটা অবশ্যই খেলার ধরনটাই পাল্টে দিয়েছে। অবশ্যই আমরা চাইতাম না মাঝখানের ওই বিরতিটা হোক। যেভাবে খেলছিলাম, ছয় সাত ওভার খেলে যেতে পারলে ম্যাচটা হয়তো আমাদেরই হতো। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কৃতিত্ব দিতে চাই। সত্যি বলতে কী, ওরা এই ঘটনা থেকে যেন জ্বলে উঠেছিল। তারা এক জোট হয়ে পুরো দল হয়ে লড়াই করেছে। হয়তো যা ঘটেছে, সেটা তাদের পক্ষেই গেছে।’