গতকাল বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে না এসে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের দল ফরচুন বরিশাল থেকে জানানো হয়, সাকিব নাকি পেটের পীড়ার কারণে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে আসতে পারেননি।
আসল কারণটা ছিল অন্য, সেটি পরে জানা গেছে। মাঠে না এসে সাকিব গিয়েছিলেন একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী, সাকিবকে দলের সঙ্গে যোগ দিতে হলে করোনা নেগেটিভ হতে হবে। কিছুক্ষণ আগে সেই করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছেন সাকিব।
বিসিবির চিকিৎসক মনজুর ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘তিনি বিসিবির কোভিড প্রটোকল মেনে হোটেলে ফিরেছেন। এসে যে করোনা পরীক্ষা করেছেন, তাতে নেগেটিভ হয়েছেন।’
গতকাল বিপিএলের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাকিব না থাকায় কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে বরিশালের পক্ষ থেকে যোগ দেন দলটির সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান। এ সময় বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান নির্বাহী সাব্বির খান জানান, ‘পেটের পীড়ার কারণে সাকিব আসতে পারেননি।’
তবে ধোঁয়াশা তৈরি হয় নুরুলের বক্তব্যে। ট্রফি উন্মোচন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের না থাকা প্রসঙ্গে নুরুল বলেন, ‘গতকাল আমাদের ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল, করেছি। আমার কাছে যেটা মনে হয়, উনি (সাকিব) জিম বা অন্য কিছু করছে। যে কারণে হয়তো আসতে পারেননি। যে কারণে আমার এখানে আসা। আমার কাছে মনে হয়, ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। এর থেকে খুব বেশি আমি জানি না।’
ঘণ্টাখানেক পর বরিশালের অনুশীলন শেষে দলটির কোচ খালেদ মাহমুদও সাকিবের না থাকার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘আসলে তেমন কিছু না। কাল অনুশীলন করেছে। আজও জিম করেছে। আমি আসলে অনুশীলনে আসার জন্য সেভাবে বলিনি। সে তার খেলাটা জানে। পুরো বিপিএল যদি দেখেন, সাকিব ব্যাট করেছেন তিন থেকে চার দিন। নিজের মতো করে কাজ করেছে। আজ বললো ভালো লাগছে না, যাব না। আমি বলেছি ঠিক আছে।’
এবারের বিপিএলে জৈব সুরক্ষাবলয় রাখেনি বিসিবি। ম্যানেজড ইভেন্ট এনভাইরনমেন্ট (এমইই) নামের করোনানীতিতে চলছে এবারের বিপিএল। ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যর কথা ভেবে করোনানীতি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে যদি কোনো ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ টিম হোটেল ছাড়েন, তাঁকে করোনা নেগেটিভ হয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে।