সুনীল গাভাস্কারের ছেলে রোহান গাভাস্কার বাবার নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তেমনি পারেননি ভিভ রিচার্ডসের ছেলে মালি রিচার্ডস, বিজয় মাঞ্জরেকারের ছেলে সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। ক্রিকেট মাঠে কিংবদন্তি বাবার নামের ভার সইতে না পেরে ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তিদের এই তালিকা মোটেও ছোট না। অস্টিন ওয়াহ কি এই ভয়েই ক্রিকেট থেকে বিরতি নিলেন?
উত্তরটা শুধু অস্টিনই জানেন। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে তেমন মনে হতেই পারে। নামের সঙ্গে ‘ওয়াহ’ যেহেতু আছে, বোঝাই যায় কোন পরিবারের সন্তান। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ওয়াহ পরিবার তো একটাই, তাদের মধ্য থেকেই উঠে আসা স্টিভ ওয়াহর ছেলে অস্টিন। তাঁর বাবাকে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ক্রিকেটার ও সফল অধিনায়কদের তালিকায় অনায়াসে রাখা হয়। সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ার অভিযাত্রার শুরুও হয়েছিল স্টিভ ওয়াহর নেতৃত্বে।
তো, স্টিভেরই ছেলে অস্টিনও ক্রিকেট খেলেন। ভবিষ্যৎও বেশ উজ্জ্বল। অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অলরাউন্ডার হিসেবে বাবার মতো প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছেন অস্টিন। কিন্তু মাত্র ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের আপাতত খেলা থেকে মন উঠে গেছে। সিডনিতে নিজের ক্লাব সাদারল্যান্ডকে অস্টিন জানিয়েছেন, এ মৌসুমে তিনি মাঠের বাইরে থাকতে চান। খেলতে চান না ক্রিকেট।
চ্যানেল নাইন জানিয়েছে, বাবার নামের ভার সইতে না পেরে অস্টিন এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাদারল্যান্ডের অধিনায়ক বেন ডরিশ সিডনি টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘সে (অস্টিন) এ বছর খেলতে আগ্রহী নয়। খেলা থেকে কিছুদিন দূরে থাকতে চায়। সে অসাধারণ খেলোয়াড়, সম্ভাবনাও প্রচুর, কিন্তু কাউকে খেলার জন্য জোর করা যায় না। খেলার চাপ তো আছেই, নামের সঙ্গে ওয়াহ থাকাটাও অতিরিক্ত চাপ। আশা করি, বিরতি থেকে ফিরে সে খেলাটা আবারও ভালোবাসবে।’
২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন অস্টিন। বাবার মতোই মিডিয়াম পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছে তাঁর। বল হাতে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে উইকেটও পেয়েছেন ভালোই। ২০১৬ সালে পন্টিং একাদশের বিপক্ষে গিলক্রিস্ট একাদশের এক প্রদর্শনী ম্যাচে খেলেছিলেন অস্টিন। তখন ১৭ বছর বয়সেই ব্র্যাডলি হোপকে লং অনের ওপর দিয়ে দর্শনীয় এক ছক্কা মেরেছিলেন। চমকে যাওয়া ধারাভাষ্যকারদের চোখে শটটি ছিল ‘টেনিস বল সার্ভিস’!