পাকিস্তানের ক্রিকেটার ও বাবর আজমের খালাতো ভাই উমর আকমল
পাকিস্তানের ক্রিকেটার ও বাবর আজমের খালাতো ভাই উমর আকমল

বাবরকে জুতা দেননি কে, জানেন না খালাতো ভাই উমর আকমল

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পথ থেকে অনাস্থা ভোটে বিদায় হয়েছে ইমরান খানের। ইমরান-ঘনিষ্ট পিসিবি প্রধান রমিজ রাজার এখন কী হবে—পাকিস্তানের ক্রিকেটে এমন একটা আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই আবার আলোচনা হচ্ছে ‘জুতা-বিতর্ক’ নিয়ে! পাকিস্তানের তিন সংস্করণের অধিনায়ক বাবর আজম বেশ কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে ওঠার সময় তিনি তাঁর জ্ঞাতি ভাইদের একজনের কাছে এক জোড়া জুতা চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সে ভাই তা দেননি!

বাবরের খালাতো ভাই উমর আকমল-কামরান আকমলরা, এটা প্রায় সবারই জানা। একটা সময় ছিল পাকিস্তানের ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন কামরান-উমররা। পাকিস্তান দলে খেলেছেন আকমলদের আরেক ভাই আদনানও। কিন্তু তাঁদের সময় শেষ, পাকিস্তানের ক্রিকেটে এখন চলছে তাঁদেরই খালাতো ভাই বাবরের রাজ! তিন সংস্করণেই পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর প্রায় চার মাস আগে ইনজামাম-উল হককে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানেই তিনি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে নিজের উঠে আসার গল্প বলেছেন। সে সময় তাঁকে কতটা লড়াই করতে হয়েছে, তা–ও বলেছেন বাবর।

পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম

ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে ওঠার সময়কার লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে বাবর তাঁর কোনো এক জ্ঞাতি ভাইয়ের কাছে জুতা চেয়ে না পাওয়ার কথা বলেছেন। প্রায় চার মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর বাবরের সেই কথার জবাব দিলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী পাকিস্তানি ক্রিকেটর উমর আকমল। পাকিস্তানের হয়ে ১৬টি টেস্ট, ১২৪টি ওয়ানডে ও ৮৪টি টি-টোয়েন্টি খেলা আকমলের কথা, এমনটা হওয়ার কথা নয়।

বাবর জানুয়ারিতে ইনজামামকে বলেছিলেন, ‘আমি আমার এক ভাইয়ের কাছে এক জোড়া জুতা ধার চেয়েছিলাম। কিন্তু সে আমাকে বলেছিল, তার কাছে নেই। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমার তার কাছে জুতা চাওয়া উচিত হয়নি।’ বাবরের বাবা আজম সিদ্দিক ছেলের জুতা চাওয়ার বিষয়ে জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘একটা বাচ্চা আরেকজনের কাছে জুতা চাইতেই পারে। যার কাছে চেয়েছে তার জুতা না–ও থাকতে পারে, আবার (যে কারণেই হোক) সে না–ও দিতে পারে। এটা তেমন কোনো ব্যাপার নয়।’

পাকিস্তানের উইকেটকিপার কামরান আকমল

উমর আকমলের কাছে বিষয়টি হয়তো ‘ব্যাপার’ মনে হয়েছে। এ কারণেই চার মাস পেরিয়ে গেলেও বিষয়টির জবাব দিয়েছেন উমর। পাকিস্তানের পাক টিভিকে বলেন, ‘আমি জানি না, আমাদের কোন জ্ঞাতি ভাই বাবরকে জুতা দেয়নি। আমাদের আত্মীয়দের মধ্যে যারা ক্রিকেট খেলতে চেয়েছে, আমরা তাদের সবাইকে সাহায্য করে এসেছি। আমি তো কখনোই কাউকে না করিনি। আমার ঘনিষ্টরা এটা খুব ভালো করেই জানে।’