>লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ভালো শুরু পায়নি বাংলাদেশ
কাল প্রথম ম্যাচে হারের পর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে কি শিক্ষা নেওয়ার ছাপ দেখা গেল? নাকি মনে হচ্ছে খেলাটা যে টি-টোয়েন্টি, বাংলাদেশ দল তা বেমালুম ভুলে বসে আছে!
কালকের মতো আজও আগে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। ভেন্যু সেই একই, উইকেটের আচরণও ছিল এক। অনেকটা দেশের উইকেটের মতোই। মন্থর ও নিচু বাউন্সের। পাকিস্তানের সাবেকেরা উইকেটের যত সমালোচনাই করুক, এমন ২২ গজ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কাছে অন্তত অচেনা নয়; যদিও ব্যাটিং দেখে তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ৩৫। আজ আরও বাজে। ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩। ফিরেছেন মোহাম্মদ নাঈম ও মেহেদী হাসান।
মোহাম্মদ হাসনাইন ছাড়া আর কোনো পেসার উইকেট থেকে সুইং আদায় করে নিতে পারেননি। যদিও শাহিন শাহ আফ্রিদির ভালো একটি ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন নাঈম। সেটি নিজের খেলা প্রথম বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’। বিপিএলে তিনে বেশ ভালো খেলা মেহেদীকে নামিয়ে চমকে দিতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। উল্টো মেহেদী (১২ বলে ৯) যেভাবে আউট হয়েছেন, তাতে সমর্থকদেরই চমকে যাওয়ার কথা! হাসনাইনের বাউন্সারকে ঠিক কোথায় পাঠাতে চেয়েছিলেন, তা ভাবাবে যে–কাউকেই। বিপিএলে পেসারদের গতি এবং হাসনাইনের গতির সঙ্গে পার্থক্যটা তিনি হয়তো টের পেয়েছেন আউট হওয়ার পর। ওভাবে পুল শট যে টেল-এন্ডাররা খেলে থাকে!
তামিম ১৬ রানে ‘জীবন’ পেলেও এখনো একপ্রান্ত ধরে রেখেছেন। তবে সেটি টি-টোয়েন্টি মেজাজে নয়। আরেক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ায় এমনিতেই খোলসবন্দী থাকার কথা। চারে নামা লিটন হতাশ করেছেন আরও বেশি। ১৪ বলে ৮ রান করে আউট হয়েছেন শাদাব খানের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে। তামিমের (২৫ বলে ২৬) সঙ্গে উইকেটে রয়েছেন আফিফ হোসেন (৮ বলে ১৩)। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৭। প্রথম ম্যাচে ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৬২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।