>ভারী বাতাসে বোলিং করতে ঝামেলা হচ্ছে বাংলাদেশের বোলারদের। প্রস্তুতি ম্যাচ তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে
শোঁ শোঁ বাতাস। ক্রাইস্টচার্চের লিংকনে বাতাসের তীব্রতা কতখানি, খেলোয়াড়দের গায়ে জড়ানো জার্সি কিংবা কম্পমান নেট দেখলেই বোঝা যায়। কাল এই মাঠে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার স্মৃতি না মুছতেই চলে আসছে টেস্ট সিরিজ। তার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ। এ ম্যাচের আগে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাতাস।
বাতাসকে কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত কিছুর সুযোগ যেমন থাকে, বাতাসের বিপরীতে ভালো বোলিং করা আবার কঠিন একটা কাজ। উপমহাদেশের দল হিসেবে এমন কন্ডিশনে দুর্দান্ত কিছু করা সব সময়ই কঠিন। তবে দলের প্রতিনিধি হয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে পেসার আবু জায়েদ বললেন, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কাল থেকে শুরু দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা অনেক কাজে দেবে, ‘এখানকার বাতাস অনেক ভারী। আমরা এটা নিয়েই কাজ করব এই ম্যাচে, যাতে আমরা পেসাররা ধারাবাহিক জায়গায় বোলিং করতে পারি। আজ বোলিং করেছি, অনেক কষ্ট হয়েছে। বাতাসে বল এদিক-ওদিক যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে অনুশীলন ম্যাচটা তাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে আশা হারাচ্ছেন না জায়েদ। ৩ টেস্ট খেলা বাংলাদেশ দলের এই পেসার আশাবাদী, ২৮ ফেব্রুয়ারি হ্যামিল্টনে শুরু প্রথম টেস্টের আগেই তাঁরা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে শুরুর দিকে উইকেট তুলে নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পেসাররা চেষ্টা করব যাতে শুরুতেই উইকেট এনে দিতে পারি। আমরা প্রায় আট দিন আগে এসেছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো ২০ উইকেট তুলে নেওয়া। একটা টেস্ট জিততে হলে ২০ উইকেট নিতেই হবে। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি।’
আবু জায়েদ যখন কথা বলছিলেন, অনেক কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না বাতাসের তীব্রতায়। নিউজিল্যান্ডের পেসাররা এই কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন। তাদের ব্যাটসম্যানরাও জানেন এখানে কীভাবে খেলতে হয়। নিজেদের ‘প্রিয়’ সংস্করণ ওয়ানডেতেই হাবুডুবু খাওয়া বাংলাদেশ কি পারবে সাদাপোশাকে দুর্দান্ত কিছু করতে? প্রশ্নটার উত্তর পরে, কাল থেকে শুরু প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ভালোভাবে তৈরি হোক তারা।