বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, হারিস রউফ, শাহিন শাহ আফ্রিদিদের একটা সুখবরই শোনালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। বেতন বাড়ছে তাঁদের। একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে না খেলার জন্যও বাড়তি ভাতা দেওয়া হবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের।
আগামী মাসে ক্রিকেটারদের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করবে পিসিবি। আজ লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিসিবির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আসা খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য পিসিবিকে ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি অনুদান দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের বোর্ড অব গভর্নর্স। এর ৭৮ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে। পিসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘খুব ভালো পারফর্ম করা ক্রিকেটারদের প্রণোদনা ও পুরস্কার দিয়ে অনুপ্রাণিত করা পিসিবির কৌশলের অংশ। এখন থেকে অন্যান্য দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের বেতনের পার্থক্যটাও কমিয়ে আনা হবে।’
জুলাইয়ের ১ তারিখে পিসিবি সাদা ও লাল বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা আলাদা কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করবে। এবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে খেলোয়াড়ের সংখ্যা ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩৩ জন করা হবে বলেও জানিয়েছে পিসিবি। সব সংস্করণেই আগের চেয়ে ম্যাচ ফি ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে। ম্যাচে না খেলা খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফিও ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ বাড়ানো হবে।
টিম লিডার বা বাড়তি দায়িত্ব পালন করা খেলোয়াড়দের জন্য আলাদা করে প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হবে। বিভিন্ন দেশের লিগ থেকে খেলার প্রস্তাব পাওয়া খেলোয়াড়দের জন্য বাড়তি প্রণোদনা দেওয়া সম্পর্কে পিসিবির চেয়ারম্যান রমিজ বলেছেন, ‘ছুটিতে আমাদের শীর্ষ খেলোয়াড়দের বাড়তি লিগে না খেলার জন্য উৎসাহিত করি। ওই সব লিগে না গেলে খেলোয়াড়দের ছুটিটা ভালো কাটবে বলে মনে করি আমরা। ওই সব লিগে তারা যত রুপির প্রস্তাব পাবে, এর ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রুপি আমরা তাদের দেব।’
পিসিবি কেন এমন উদ্যোগ নিতে চায়, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রমিজ, ‘আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌসুম আছে। আমরা চাই না আমাদের খেলোয়াড়েরা শক্তি হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ুক। জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য তারা সতেজ থাকুক, এটাই চাই আমরা।’
শুধু বাবর-রিজওয়ানদের জন্যই যে সুখবর আছে, তেমনটা নয়। পাকিস্তানের নারী ক্রিকেটারদের বেতনও ১৫ শতাংশ বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন রমিজ।