আইসিসি ভবিষ্যৎ সফরসূচির (এফটিপি) অংশ হিসেবে ২০২১-২২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফর করবে বাংলাদেশ দল। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নেদারল্যান্ডসেরও এই সফরসূচির (এফটিপি) অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার কথা। বাইরের দেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে গেলে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক। এই তিন দলের খেলোয়াড়দের আইসোলেশনে রাখতে প্রয়োজনীয় ফ্যাসিলিটি অনুমোদন করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার।
নিউজিল্যান্ড সরকারের এমআইকিউ (ম্যানেজড আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন) ওয়েবসাইটে গতকাল এই তালিকা প্রকাশিত হয়। তবে ভারতের খেলোয়াড়দের জন্য আইসোলেশনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এর অর্থ হলো তিন ম্যাচ ওয়ানডে খেলতে আগামী বছর মার্চে ভারত জাতীয় দলের নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল। ক্রিকইনফো জানিয়েছে ভারতের এই সফর স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ‘স্টাফ’ অবশ্য তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের এই সিরিজ স্থগিত করা হয়েছে। আগামী বছরের শেষ দিকে এই সিরিজ মাঠে গড়াতে পারে।
এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে এফটিপি সফরসূচির অংশ হিসেবে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের।
এমআইকিউ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরের শুরু থেকে বাংলাদেশ দলের ৩৫ জনের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা রাখা হবে। নেদারল্যান্ডস দল আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। ফেব্রুয়ারি-মার্চে দুই টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ডে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ফেব্রুয়ারির শুরুতে তাদের ৩৫ জনের জন্য কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা রাখা হবে। মোটকথা, এই তিন দলের খেলোয়াড়দের জন্য কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা রাখবে নিউজিল্যান্ড।
আগামী বছরের মার্চে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে নিউজিল্যান্ডে। বড় পরিসরের এ টুর্নামেন্টের খেলোয়াড়দের জন্য ‘জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন তারিখে’ মোট ১৮১ জনের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করবে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) এক মুখপাত্র ‘স্টাফ’কে জানিয়েছেন, এই মৌসুমে নিউজিল্যান্ড সফরে আসবে না ভারত। এফটিপি সফরসূচির অংশ হিসেবে আগামী বছর ভারত নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। এদিকে নভেম্বরে ভারত সফরে যাওয়ার কথা নিউজিল্যান্ড দলের। সেখানে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে কিউইরা। অর্থাৎ ডিসেম্বরের শুরুর দিকের আগপর্যন্ত নিউজিল্যান্ড দল দেশে ফিরতে পারবে না। এরপর দেশে ফিরে ১৪দিন কোয়ারেন্টিনও করতে হবে।
অর্থাৎ বক্সিং ডে টেস্ট (বড়দিনের পরদিন) না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ‘স্টাফ’ জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের মৌসুম শুরুর ম্যাচ পিছিয়ে ২৮ ডিসেম্বর নেওয়া হতে পারে।