জিম্বাবুয়ে সফরে এখনো চার ম্যাচ বাকি। আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের পর ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠেই হবে সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। বাংলাদেশ দল দেশের বিমান ধরবে ২৮ জুলাই।
জিম্বাবুয়ে সফর শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তুতি। তবে সে প্রস্তুতি এখনো মূলত করোনাভাইরাস মোকাবিলা এবং জৈব সুরক্ষাবলয় নিয়েই। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে থাকলেও সিরিজটি নিয়ে বিসিবির সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আলোচনা এখন পর্যন্ত ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পরপরই পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা নিউজিল্যান্ড দলের।
সিরিজের সূচি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও জানা গেছে, জিম্বাবুয়ে থেকে বাংলাদেশ দল যেদিন দেশে পৌঁছাবে, অস্ট্রেলিয়া দলেরও সেই ২৯ জুলাই-ই ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।
ঢাকায় তিন দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে তাদের। সিরিজটি শেষ হবে ১০-১২ দিনের মধ্যে। জিম্বাবুয়ে সফর থেকে দেশে ফিরে বাংলাদেশ দলেরও সরাসরি ঢুকে যাওয়ার কথা জৈব সুরক্ষাবলয়ে।
করোনা নিয়ে একটু বেশিই সতর্ক অস্ট্রেলিয়া দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে বাংলাদেশে আসবে ভাড়া করা বিমানে।
বিসিবিকে জৈব সুরক্ষাবলয় নিয়ে কিছু কঠিন শর্তই দিয়েছে তারা। যার অন্যতম, ঢাকায় তারা এমন কোনো হোটেলে থাকতে চায়, যেখানে বাইরের কোনো অতিথি থাকবে না। তবে ঢাকায় এ রকম হোটেলের ব্যবস্থা করা কঠিন বলে তাদের জানিয়েছে বিসিবি।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা থেকে মুঠোফোনে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া যেসব শর্ত দিয়েছে, সেটা স্বাভাবিক। আমরাও চেষ্টা করব যতটা সম্ভব তাদের নিরাপদে রাখতে। যদি শুধু তাদের জন্য আলাদা হোটেলের ব্যবস্থা না-ও করা যায়, আমরা চেষ্টা করব তারা যে হোটেলে থাকবে, সেখানে যেন যতটা সম্ভব কম বাইরের অতিথি থাকে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পরপরই পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা নিউজিল্যান্ড দলের। বিসিবির প্রধান নির্বাহীর আশা, অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি ঝামেলাহীনভাবে আয়োজন করা গেলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ আয়োজনেও সমস্যা হবে না।