বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংস স্কোর থেকে ৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে থাকা দুই অভিজ্ঞ লঙ্কান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিনেশ চান্ডিমালের ব্যাটে লিডের আশা ছিলই। বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল, সকালের সেশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে লঙ্কান মিডল অর্ডারে ফাটল ধরানোর।
কিন্তু প্রথম সেশনের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কারই জয় হলো। কোনো উইকেট না হারিয়ে শ্রীলঙ্কা চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে ৮৭ রান যোগ করেছে। ১৩০ ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৬৯ রান। বাংলাদেশের ৩৬৫ পেরিয়ে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে গেছে ৪ রানে। চট্টগ্রাম টেস্টে ১৯৯ রান করা ম্যাথুস মিরপুরে অপরাজিত ৯৩ রান করে। চান্ডিমাল ৬১ রান করে ম্যাথুসকে সঙ্গ দিচ্ছেন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এরই মধ্যে এসেছে ১০৩ রান।
মিরপুর টেস্টের প্রথম তিন দিনই সকালের সেশনে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। প্রথম দুই দিন প্রথম সেশনে যথাক্রমে ৫টি ও ৪টি উইকেট শিকার করেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশও নিয়েছিল শ্রীলঙ্কার দুই উইকেট। কিন্তু আজ আর তা হলো না। টাইগারদের নির্বিষ বোলিংয়ে নির্বিঘ্নে পুরো সেশন কাটিয়েছে সফরকারীরা।
আগের দিন ৫ উইকেটে ২৮২ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিন প্রায় তিন ঘণ্টা নষ্ট হওয়ায় আজ ত্রিশ মিনিট আগে খেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু সকালের কন্ডিশন পেয়েও দুই অভিজ্ঞ লঙ্কানের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের বলে বিচ্ছিন্ন কিছু আবেদন হলেও উইকেট তোলার মতো বোলিং করতে পারেননি তাঁরা। ফলে অনায়াসেই কেটেছে লঙ্কানদের প্রথম ঘণ্টা।
দুই ফ্রন্ট লাইন স্পিনার সাফল্য না পাওয়ায় বোলিংয়ে খোদ অধিনায়ক মুমিনুল হক। সেই ওভারেই চতুর্থ বলে তাঁর বিশাল টার্নে চান্ডিমালের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদনে আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে চান্ডিমাল সে যাত্রায় বেঁচে যান। এ ছাড়া তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। পুরো সেশনটা স্বাচ্ছন্দ্যেই কাটিয়েছে লঙ্কানরা।