বাংলাদেশের সামনে বিরল সুযোগ

বাংলাদেশের সামনে বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়বারের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি। ছবি: এএফপি
বাংলাদেশের সামনে বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়বারের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি। ছবি: এএফপি
>২০১২ সালের জুলাইয়ে আয়ারল্যান্ডেই আইরিশদের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছেন সাকিবরা। কাল একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিতলে বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়বারের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।

সংস্করণ যখন টি-টোয়েন্টি, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মানতেই হবে। ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কাজটা আরও কঠিন হয়ে গেল সেন্ট কিটসে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে।

কঠিন চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়ার প্রথম ধাপ বাংলাদেশ পেরিয়েছে সাফল্যের সঙ্গে। ফ্লোরিডার লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা এনেছেন সাকিবরা। কাল একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচ রূপ নিয়েছে ফাইনালে। এই ম্যাচটা জিতলে বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়বারের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। শুধু বিদেশ নয়, সব মিলিয়ে একের অধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো জেতার সুযোগ সাকিবদের।

বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত একের অধিক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ১১টি। এর মধ্যে দেশে ৪টি, বিদেশে ৭টি। দেশে কখনো সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বিদেশে জয় মাত্র একটি। ২০১২ সালের জুলাইয়ে আয়ারল্যান্ডেই আইরিশদের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ।

বাকি ছয়টি সিরিজের তিনটি ড্র করেছে আর তিনটিতে হার। এই তিনটি হারের প্রতিটি গত দুই বছরে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের প্রতিটিই হারে বাংলাদেশ। গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর সবশেষ গত জুনে দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাই।

দেশ কিংবা বিদেশে যেখানেই বলুন না কেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বলার মতো সাফল্য নেই বললেই চলে। এবার এ বিবর্ণ রেকর্ড একটু উজ্জ্বল করার সুযোগ সাকিবদের সামনে। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাইয়ের রেকর্ডটা অবশ্যই সুখস্মৃতি। তবে কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলে আগেরটি ছাপিয়ে একাধিক ম্যাচের সিরিজে এটিই সর্বোচ্চ সাফল্য হয়ে থাকবে বাংলাদেশের। র‍্যাঙ্কিংয়ে ঢের এগিয়ে থাকা দল বলেই নয়, ক্যারিবীয়রা এই সংস্করণের ‘চ্যাম্পিয়ন’! ২০১২, ২০১৬ টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড যে দলের, তাদেরই ঘরের মাঠে সিরিজ জিতে আসা, মনে রাখার মতোই অর্জন হবে নিশ্চয়ই।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জেতার এই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এগিয়ে রাখবে আজকের জয়টি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই বাজিমাত! সিরিজ জিততে বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করতে মাঠে উপস্থিত হাজারো লাল-সবুজ সমর্থকেরা তো আছেনই।

দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ

প্রতিপক্ষ

ম্যাচ

জয়

পরাজয়

সাল

জয়ী

আয়ারল্যান্ড

২০১২

বাংলাদেশ

নেদারল্যান্ডস

২০১২

ড্র

জিম্বাবুয়ে

২০১৩

ড্র

শ্রীলঙ্কা

২০১৪

শ্রীলঙ্কা

দ. আফ্রিকা

২০১৫

দ. আফ্রিকা

জিম্বাবুয়ে

২০১৬

ড্র

নিউজিল্যান্ড

২০১৭

নিউজিল্যান্ড

শ্রীলঙ্কা

২০১৭

ড্র

দ. আফ্রিকা

২০১৭

দ. আফ্রিকা

শ্রীলঙ্কা

২০১8

শ্রীলঙ্কা

আফগানিস্তান

২০১8

আফগানিস্তান