টেস্টে ১৮ বছর

বাংলাদেশের যত তেতো-মিঠা বিশ্ব রেকর্ড

২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের মুখ দেখেছিল বাংলাদেশ। ছবি: এএফপি
২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের মুখ দেখেছিল বাংলাদেশ। ছবি: এএফপি
>

টেস্ট ক্রিকেটের মাঠে আজ ১৮ বছর পূর্তি হলো বাংলাদেশের। এই দেড় যুগে গৌরবের পাশাপাশি যন্ত্রণার কিছু রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ দল

আজ থেকে ঠিক ১৮ বছর আগে টেস্ট আঙিনায় পা রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অভিষেক টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। তারপর থেকে এই সংস্করণে ১০৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ৮৩ হারের বিপরীতে জয় মাত্র ১০টি। আর ড্র করেছে ১৬ ম্যাচ। এই ১৮ বছরে টেস্ট আঙিনায় বাংলাদেশের যেমন গৌরবের রেকর্ড আছে তেমনি যন্ত্রণার রেকর্ডও কম নয়। আসুন দেখে নেই সেসব রেকর্ড:

গৌরবের রেকর্ড:

• বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে চালর্স বানারম্যান ও ডেভ হটনের পাশে নিজের নাম লিখিয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। প্রথম ইনিংসে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র তিনজন ক্রিকেটার দেশের অভিষেক ম্যাচে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার চার্লস বানারম্যান ও জিম্বাবুয়ের ডেভ হটনের পর এই তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন বুলবুল।

• টেস্ট অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ডটি বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০১ সালে টেস্ট অভিষেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭ বছর ৬৩ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেন আশরাফুল।

• সবচেয়ে কম বয়সে ১০ উইকেটের রেকর্ডটি এনামুল হক জুনিয়রের। ২০০৫ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২ উইকেট নেওয়া ম্যাচের শুরুর দিন এনামুলের বয়স ছিল ১৮ বছর ৪০ দিন।

• অভিষেকে ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি আবুল হাসানের। ২০১২ সালে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে দশে নেমে ১১৩ রান করেছিলেন এই পেসার।

• একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিকের রেকর্ডটি সোহাগ গাজির। ২০১৩ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।

• টেস্টে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২০১৪ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি এবং ম্যাচে ১০ উইকেট নেন সাকিব। ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম ও পাকিস্তানের ইমরান খানের পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েন সাকিব।

যন্ত্রণার রেকর্ড:

• টানা টেস্ট হার। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে শুরু করে ২০০৪ সালে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই প্রথম টেস্ট পর্যন্ত টানা ২১ টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ।

• একদিনে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। ২০০২ সালে কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০৯ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা।

• টেস্ট অভিষেক থেকে শুরু করে ২০০৪ সালে ভারত সিরিজ পর্যন্ত টানা ১৬টি সিরিজে হারে বাংলাদেশ। টানা সিরিজ হারের বিশ্ব রেকর্ড এটাই। ২০০৫ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত টানা ১১ সিরিজ হেরে দুইয়েও বাংলাদেশ।

• ইনিংসে সবচেয়ে বেশি শূন্য। ২০০২ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন। এই রেকর্ডে বাংলাদেশের সঙ্গী পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত।

• ইনিংসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি। ২০০১ সালে মুলতানে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের একমাত্র ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৫৪৬ রান তোলে পাকিস্তান। ১৯৫৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরাও ৫ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

• টেস্টে পুরো ম্যাচে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের ঘটনা পাঁচটি, এর একটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশকে দুই ইনিংসে ১৭৩ ও ২৩৭ রানে অলআউট করার মাঝে ২ উইকেটে ৪৭০ ৪৭০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

• স্কোরবোর্ডে কোনো রান তোলার আগেই প্রথম ৩ উইকেট হারানো পঞ্চম দল বাংলাদেশ।

• বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ ও নিল ম্যাকেঞ্জি প্রথম উইকেটে তুলেছিলেন ৪১৫ রান।