২০১৬ সালের এপ্রিলে হিথ স্ট্রিক চলে যাওয়ার বিসিবি প্রায় পাঁচ মাস হন্যে হয়ে পেস বোলিং কোচের খোঁজ করেছিল। বিসিবির এ বোলিং কোচ সন্ধান শেষ হয় কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তির মধ্য দিয়ে। বেশ হইচই ফেলে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পেস বোলিং কোচ হয়ে ক্যারিবীয় কিংবদন্তির বাংলাদেশে আসা।
ওয়ালশের আগমন যতটা আলোড়ন তোলে, বিদায়টা সেভাবে ঠিক হয়নি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর তাঁর সঙ্গে বিসিবি আর চুক্তি নবায়ন করেনি। নিভৃতেই বিসিবি-অধ্যায় শেষ করেছেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি। বাংলাদেশের চাকরি শেষে নিরিবিলিই সময় কাটাচ্ছেন জ্যামাইকায়। নীরিবতা ভেঙে কাল কথার ঝাঁপি খুললেন ওয়ালশ। প্রথম আলোর সঙ্গে কথপোকথনে ফিরে দেখলেন তাঁর তিন বছরের বাংলাদেশ-পর্ব। সেটি দেখতে গিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে দুঃখই প্রকাশ করলেন এক সময়ের টেস্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, 'বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। আমি দুঃখিত, ভক্ত-সমর্থকদের কাছ থেকে ভালোভাবে বিদায় নেওয়া হয়নি।'
গত বছর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশের চাকরি শেষে ওয়ালশ গত নভেম্বর থেকে কাজ করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের বোলিং কোচ হিসেবে। সময়ের স্রোতে নতুন ব্যস্ততা যোগ হলেও ওয়ালশ ভুলতে পারেন না বাংলাদেশে কাটিয়ে যাওয়া তিনটি বছর, 'বেশিরভাগ খেলোয়াড় আমাকে খুব সম্মান করেছে। কিছু খেলোয়াড় আমাকে যেভাবে দেখাশোনা করেছে তারা আজও আমার কাছে পরিবারের মতো। যত দিন ওখানে থেকেছি ভীষণ উষ্ণ অভ্যর্থনা অনুভব করেছি।'
গত জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন আরেক ক্যারিবীয় ওটিস গিবসন। ওয়ালশের আশা, তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে গিবসন ভালো করবেন, 'ওটিস খুবই ভালো কোচ। যদি বোর্ড তাকে ভালো সুযোগ দেয়, আর বাংলাদেশে যে প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার আছে, তাতে আমি নিশ্চিত সে ভালো করবে।'
কোর্টনি ওয়ালশের বিস্তারিত সাক্ষাৎকার পড়ুন কালকের ছাপা সংস্করণে