বিস্মৃতির অতলেই হারিয়ে যেতে বসেছিলেন। ২০১০ সালের মার্চের পর আর ওয়ানডে খেলেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেই নিল ব্রুমকেই দলে ডেকেছে নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজের দলে ফিরেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লুক রনকিও।
অনেক দিন ধরেই বিজে ওয়াটলিংয়ের ব্যাটে রানের খরা। কদিন আগে শেষ হওয়া রিচার্ড-হ্যাডলি ট্রফিতেও ব্যর্থ হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেছেন ৩১ রান। স্বাভাবিক কারণেই দল থেকে বাদ পড়েছেন ওয়াটলিং। তাঁর জায়গায়ই দলে এসেছেন রিচার্ড-হ্যাডলি ট্রফিতে না খেলা রনকি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ সিরিজে ব্যাট করতে পারেন রস টেলরের চার নম্বর জায়গায়। সম্প্রতি বাঁ চোখের অস্ত্রোপচার করানোর কারণে এই সিরিজে খেলছেন না টেলর।
২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের মার্চ—এই সময়ের মধ্যে ২২টি ওয়ানডে খেলেছেন ব্রুম। তবে সফল হতে পারেননি। ১৭.২২ গড়ে করেছেন ৩৩৩ রান। দলে জায়গাও হারান। তবে গত দুই মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে নির্বাচকদের নজর কাড়েন। প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট প্ল্যাঙ্কেট শিল্ডে ২০১৬-১৭ মৌসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্রুম। ৫৯ গড়ে করেন ৩৫৪ রান। ২০১৫-১৬ মৌসুমে লিস্ট এ ক্রিকেটের ফোর্ড ট্রফিতেও সর্বোচ্চ রান ছিল তাঁর। তিনটি সেঞ্চুরি আর দুটি হাফ সেঞ্চুরিতে করেন ৫০৮ রান।
সম্প্রতি ভালো পারফর্ম করার পুরস্কার পেয়েছেন রনকিও। ২০১৫ সাল থেকে রনকির ব্যাটে রানের খরা যাচ্ছিল। ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও একই ধারা ছিল বলে বাদ পড়েছিলেন রিচার্ড-হ্যাডলি ট্রফির দল থেকে। তবে প্লাঙ্কেট ট্রফিতে ঘুরে দাঁড়ান রনকি। এই টুর্নামেন্টে তাঁর একটি করে সেঞ্চুরি আর ফিফটি আছে।
ক্রাইস্টচার্চে ২৬ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে নেলসনে। একই ভেন্যুতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ৩১ ডিসেম্বর। এ ছাড়া সফরে বাংলাদেশ তিনটি টি-টোয়েন্টি আর দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। সূত্র: ক্রিকইনফো
ওয়ানডে সিরিজের নিউজিল্যান্ড দল : কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট, নিল ব্রুম, লকি ফার্গুসন, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, মার্টিন গাপটিল, ম্যাট হেনরি, টম ল্যাথাম, কলিন মানরো, জেমস নিশাম, লুক রনকি, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি।