কাল সকালে ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় এসেই চলে এলেন বিসিবি কার্যালয়ে কিছু দাপ্তরিক কাজ সারতে। স্টিভ রোডসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো আজ থেকে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে শুরু করে দিলেন তাঁর কাজ। দুই দিন পরই যে বাংলাদেশ রওনা দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। কিন্তু প্রথমবারের মতো একটি জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়া রোডস কি ভালো করে চেনেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের?
ঈদের কিছুদিন আগে বিসিবির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর যে কদিন ছুটি পেয়েছেন, সময়টা রোডস কাজে লাগিয়েছেন দলের খেলোয়াড়দের ভালো করে চিনতে। এই কাজটি তিনি কীভাবে করেছেন সেটি আজ সংবাদমাধ্যমকে বললেন এভাবে, ‘খেলোয়াড়দের সম্পর্কে খুব ভালো জানি না। বাড়িতে ইন্টারনেটে তাদের সম্পর্কে ঘাঁটাঘাঁটি করেছি। কীভাবে তারা খেলে সেসব লক্ষ করেছি। ইউটিউবে কিছু হাইলাইটস দেখেছি। কিছু খেলোয়াড়ের মুখ চিনেছি, এমনকি সাপোর্টিং স্টাফদেরও চেনার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে কি, একটু দ্রুতই সব হচ্ছে, ক্যারিবীয় সফর বেশি দিন নেই। সেখানে ভালো করতে উন্মুখ। চেষ্টা করব ক্রিকেটারদের আরও এগিয়ে নিতে।’
ইংলিশ কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের কোচ ছিলেন রোডস। কাজ করেছেন ইংল্যান্ড লায়ন্স ও ইংল্যান্ড দলের সঙ্গেও। দীর্ঘদিন একটি কাউন্টি দলের কোচ হিসেবে কাজ করলেও একটি টেস্ট দলের প্রধান কোচ হওয়াটা সব সময়ই অন্য রকম। রোডস বললেন, নতুন এই চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি তৈরি, ‘ইংল্যান্ড লায়নদের প্রোগ্রামে কাজ করেছি। তবে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ। বাংলাদেশ দলে কিছু অসাধারণ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় আছে। আমার কাছে এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে আমি নিজেও এখন একটা বাঘ। যে দলের সঙ্গেই থাকুন না কেন, জেতার জন্য আপনাকে শতভাগ দিতে হবে। সেটা যদি হয় বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, তাহলে তো অসাধারণ। আমার ধারণা, স্টিভ রোডসের জন্য বাঘ হয়ে ওঠার এটাই সময়।’
রোডস ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তখন ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আবেগটা ভালোই বুঝতে পেয়েছিলেন। আজও যেমন টের পেলেন। বিশ্বকাপ ফুটবলের এই জ্বরেও বাংলাদেশের রাস্তায় কিছু শিশুকে ক্রিকেট খেলতে দেখে বাংলাদেশের নতুন কোচের মনে হয়েছিল, ওদের সঙ্গে খেলতে পারলে মন্দ হতো না! ক্রিকেটের প্রতি মানুষের এই ভালোবাসা তৈরি করেছে বিপুল প্রত্যাশা। প্রত্যাশার চাপটাও নিতে হবে রোডসকে। ইংলিশ কোচ অবশ্য জানালেন, বিষয়টা তাঁর ভালোই জানা আছে। আর এটি মাথায় রেখেই শুরু করতে যাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রসঙ্গে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের কথা এল বেশ কয়েকবার। রোডস অবশ্য বলছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে ১৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখেন তিনি, ‘তাকে খুব ভালো জানি আমি। আমি যখন উস্টারশায়ারের কোচ তখন তাকে দলে নিয়েছিলাম। খুব ভালো বল করছে ও। তার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তাদের কিছু ভালো বোলার আছে, তবে আমাদেরও আছে ভালো ব্যাটসম্যান।’
প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ নিয়ে যেমন চিন্তা আছে, বাংলাদেশের বোলিংও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে নেই মোস্তাফিজুর রহমান। এটাকে বড় ধাক্কা মনে করছেন কোচ। একই সঙ্গে যে চার পেসার আছেন, তাঁদের জন্য দেখছেন একটা সুযোগও।