সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় দলে আছেন মোসাদ্দেক। তাসকিন আহমেদের বদলে আজ ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে শরীফুল ইসলামের।
ইসুরু উদানার প্রথম তিন বলে তিনটি চার মেরেছেন তামিম ইকবাল। অতিরিক্তসহ প্রথম তিন বলে বিনা উইকেটে ১৪ রান বাংলাদেশের। প্রথম ওভার শেষে ১৫ রান বাংলাদেশের।
দুষ্মন্ত চামিরার প্রথম বল প্যাডে আঘাত হেনেছিল তামিম ইকবালের। আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার শরফুদ্দৌল্লা। রিভিউতে সিদ্ধান্ত অবশ্য বদলাতে হয়েছে তাঁকে। ৬ বলে ১৩ রান করে ফিরে গেছেন তামিম।
চামিরা ফিরিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসানকে। ওভারের চতুর্থ বলে সাকিবকেও এলবিডব্লু করলেন শ্রীলঙ্কান ফাস্ট বোলার চামিরা। ১.৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৫ রান বাংলাদেশের।
২০ ইনিংস ও ১৭ ইনিংস পর ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে এটা তাঁর ১১তম শূন্য।
টানা দ্বিতীয় ওভার মেডেন দিলেন চামিরা। দুই ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার পেসারের বোলিং ফিগার ঈর্ষণীয়, ২-২-০২! ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ১৬ রান। শেষ ৩ ওভারে মাত্র ১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। উইকেটে আছেন লিটন দাস(১*) ও মুশফিকুর রহিম (০*)।
১৭তম বলে এসে রান দিলেন চামিরা। দারুণ এক পুলে চামিরাকে চার মেরেছেন লিটন দাস। ৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ২৬ রান বাংলাদেশের। ৯ রান করেছেন লিটন। মুশফিক অপরাজিত ১ রানে।
গত দুই বছর ধরে পাওয়ার প্লেতে কম রান তোলার ছন্দটা আজও ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৪৪ রান। অথচ আজ শুরুটা অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল। ইসুরু উদানার প্রথম বলটাই ছিল নো বল। তাতে চার মেরে শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। পরের দুই বলেও চার মেরেছেন তামিম। প্রথম ২ বলে ১৪ রান ছিল বাংলাদেশের! প্রথম ওভারে ১৫ রান তলা বাংলাদেশ ৪ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে পরের ওভারেই। দুষ্মন্ত চামিরার প্রথম ও চতুর্থ বলে এলবিডব্লু হন তামিম ও সাকিব। পাওয়ার প্লের বাকি সময়টা তাই লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম ফলকে থিতু করায় মন দিয়েছেন। দলের রানটাও তাই এগিয়েছে শম্বুক গতিতে। লিটন অপরাজিত ২২ রানে, মুশফিকের রান ৬।
৪২ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে গেলেন লিটন দাস। লক্ষণ সান্দাকানের বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে ধরা পড়েছেন এই ওপেনার। পয়েন্টে ধরা পড়ার আগে দুটি চার মেরেছেন লিটন। বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ৪৯ রান।
লিটনের পর উইকেটে এসেছেন মোসাদ্দেক। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম জাতীয় দলের জার্সিতে ওয়ানডে খেলছেন তিনি।
সান্দাকানের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেলেন মোসাদ্দেক। লেগ স্টাম্পের ওপরের বলটি ফ্লিক করতে গিয়ে ফাঁদে পড়লেন তিনি। দল এবার বেশ বিপদে। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৪/৪ (১৫.৪ ওভার)
২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরিসহ ৩১১ রান করেছিলেন লিটন দাস। এর পর ৮ ইনিংসে এই ওপেনারের ইনিংসগুলো যথাক্রমে ১৪, ২২, ০, ১৯, ০, ২১, ০, ২৫। ৮ ইনিংসে ১০১ রান করেছেন লিটন। এ সময় তাঁর গড় ১২.৬৩। স্ট্রাইকরেটও হতাশাজনক, ৫৮. ৭২!
ওদিকে ১১ ম্যাচ পর ওয়ানডেতে ডাক পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন আজ প্রত্যাবর্তনে করেছেন ১০ রান।
প্রথম ১০ ওভারে ৪৪ রান তুলতে ২ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পরের ১০ ওভারে এসেছে ৪৭ রান। তবে এবারও ২ উইকেট হারিয়ে ফেলায় স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। ৩৫ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ আছেন ৩ রানে।
২২.২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০০ রান।
দায়িত্ব নিয়ে খেলছেন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচের মতোই দারুণ স্থিতধী তিনি। এখনো পর্যন্ত ৫৯ বল খেলে করেছেন ৪১ রান। বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র একটি। স্ট্রাইক রেট ৬৯। তাঁর সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ।
২৯তম ওভারে এসে ছক্কা পেল বাংলাদেশ ইনিংস। মাহমুদউল্লাহর ছক্কায় পঞ্চম উইকেট জুটি পঞ্চাশ পেরোল। ২৮.১ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১২৮ রান বাংলাদেশের।
৭০ বলে পঞ্চাশ পেরোলেন মুশফিক। ৭০ বলে এক চারে ৫১ রান মুশফিকের। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটি তাঁর।
২০ ওভারের পর ভালো সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। এ সময় কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান তুলেছে দল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৭ রান তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক।
পানি পানের বিরতি। ৩১ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান বাংলাদেশের।
২১২ ইনিংসে ৪৮টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস মুশফিকের। মজার ব্যাপার এর মধ্যে ২৫টিই ২০১৫ বিশ্বকাপের পর। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ৫০-এর বেশি গড়ে রান তলা মুশফিক ৭৭ ইনিংসে মাত্র একবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
বাজে শট খেলে আউট হলেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৮ বলে ৪১ রান করে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। এক চার ও দুটি ছক্কা মেরেছেন এই ব্যাটসম্যান। থামল ৮৭ রানের জুটি। ৫ উইকেটে ১৬১ রান বাংলাদেশের।
১০ রান করে ফিরে গেলেন আফিফ হোসেন। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৭৮।
দ্বিতীয় বলেই আউট মিরাজ। ১৮৪ রানে সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
অষ্টম বলে এসে রান পেলেন সাইফউদ্দিন।
৩১ থেকে ৪০-এই দশ ওভারে পথ হারিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। এই সময়ে ৪৭ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। একে একে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ও মিরাজ। ৭৮ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। সাইফউদ্দিন আছেন ১ রানে।
বৃষ্টির কারণে থামল খেলা। ৪১.১ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৯৬ রান বাংলাদেশের।
বৃষ্টিতে ম্যাচ বাতিল হলেও আজ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষে উঠে যাবে বাংলাদেশ।
আবার বৃষ্টি নেমেছে। ৪৩.৩ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ২১৩ রান বাংলাদেশের। ৯৬ রানে অপরাজিত মুশফিক। ৮ রান করেছেন সাইফউদ্দিন।
বৃষ্টি থেমেছে মিরপুরে। আবার খেলা শুরু হবে বিকেল ৫-২০ মিনিটে। কোনো ওভার কাটা হয়নি।
আগের ম্যাচে ৮৪ রানে আউট হয়ে যাওয়া মুশফিক এবার আর ভুল করেননি। বৃষ্টি থামার পর আবার মাঠে নেমেই দুষ্মন্থ চামিরার বলে ফাইন লেগে চার মেরে পেয়ে গেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। ৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২২৮।
চামিরার বলে দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে গেছেন সাইফ (৩০ বলে ১১)।
ইসুরু উদানার করা ৪৮ তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি বাউন্ডারি মারলেন মুশফিকুর রহিম। ১২৫ বলে ১২৪ রান নিয়ে অপরাজিত তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪৫
সাইফের পর ফিরে গেলেন অভিষিক্ত শরীফুলও। রান করতে পারেননি কোনো। ৪৭.৪ ওভারে ২৪৬/৯ বাংলাদেশ
৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ২৪৬। ক্রিজে আছেন মুশফিক ১২৬ বলে ১২৫ রান নিয়ে।
১২৭ বলে ১২৫ রান করে ফিরলেন মুশফিক। বাংলাদেশ অল আউট হয়ে গেল ২৪৬ রানে।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারল না বাংলাদেশ। ৪৮.১ ওভারে অল আউট হয়ে গেল ২৪৬ রানে। কায়রিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিক আউট হয়েছেন বাংলাদেশের সর্বশেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। ১২৭ বলে ১২৫ রানের ইনিংসে ১০টি চার মেরেছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুষ্মন্থ চামিরা ও লক্ষণ সান্দাকান। ২ উইকেট ইসুরু উদানার।
প্রায় প্রথম ওয়ানডের মতোই বাংলাদেশের ইনিংস। ১০০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর জুটি। পঞ্চম উইকেটে এ দুজন মিলে তুলেছেন ১০৮ বলে ৮৭ রান। তবে মাহমুদউল্লাহ উচ্চাবিলাসী হয়ে লক্ষণ সান্দাকানকে প্যাডেল সুইপ না করতে গেলে হয়তো আরও বড় হতো জুটিটা। রান বাড়ত বাংলাদেশেরও।
আরও একবার ব্যাট হাতে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের তরুণরা। লিটন, মোসাদ্দেক, আফিফ, মিরাজ কেউই বড় স্কোর গড়তে পারেননি, পারেননি মুশফিককে সাহায্য করতে। ফলাফল আগের ম্যাচের চেয়েও ১১ রান কম নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তামিম ইকবালের দলকে।
ব্যাট করার সময় সাইফউদ্দিনের হেলমেটে লেগেছিল শ্রীলঙ্কান পেসার চামিরার বল। মাথায়ও কিছুটা চোট পেয়েছেন সাইফ। ঝুঁকি না নিয়ে কনকাশন (মস্তিস্কে আঘাতজনিত চোট) বদলি নামিয়েছে বাংলাদেশ। সাইফের বদলি হিসেবে ফিল্ডিংয়ের সময় নামবেন তাসকিন আহমেদ।
এর আগে এই ম্যাচের জন্য তাসকিনকে বিশ্রাম দিয়েছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। আপাতত বিশ্রাম হচ্ছে না তাঁর।
তৃতীয় ওভারেই বোলিংয়ে এসেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের জায়গায় কনকাশন বদলি হিসেবে নামা তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়েছেন এই পেসার। ওভারের শেষ বলে চার মেরেছেন গুনাতিলকা।
৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৩। পঞ্চম ওভারটি করেছেন তাসকিন। এই ওভারের তৃতীয় বলে তাসকিনের বাউন্সার গুনাতিলকার গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা হালকা আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। বাংলাদেশ দলও রিভিউ নেয়নি। বেঁচে গেলেন গুনাতিলকা (৯*)।
নিজের তৃতীয় ওভারে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক কুশল পেরেরাকে তুলে নিলেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল। মিড অনে তাঁর ক্যাচ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওয়ানডে অভিষেকেই উইকেটের দেখা পেলেন শরীফুল। ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ২৪ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ১০ম ওভারে পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রথমবারের মতো আক্রমণে নিয়ে আসেন তামিম ইকবাল। ৬ রান দেন তিনি এই ওভারে। ১০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৮। বাংলাদেশের বোলাররা ভালোই চেপে ধরেছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের। পাতুম নিশাঙ্কা ১১ ও গুনাতিলকা ১৩ রানে ব্যাট করছেন।
১৩তম ওভারে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে আবারও আক্রমণে নিয়ে আসেন তামিম। এই ওভারে ৩ রান দেন তিনি। শ্রীলঙ্কার দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ পেরিয়েছে। ১৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৫১ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন নিশাঙ্কা ও গুনাতিলকা।
১৪তম ওভারের শেষ বলে দানুস্কা গুনাতিলকাকে সাকিব আল হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের বল স্কয়ার কাট করে তুলে খেলার চেষ্টা করেন গুনাতিলকা। ক্যাচটি আরামে নেন সাকিব। ৪৬ বলে ২৪ রান করে ফিরেছেন গুনাতিলকা। ১৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৫৩ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব আল হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে তামিমকে ক্যাচ দেন পাথুম নিশাঙ্কা। ২০ রান করে আউট হলেন তিনি। ১৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭১ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। উইকেটে রয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কুশল মেন্ডিস।
২২তম ওভারের তৃতীয় বলে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লু হন কুশল মেন্ডিস। ১৫ রান করে আউট হন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন লঙ্কান এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হন তিনি আউট। ২১.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে উইকেটে রয়েছেন আসেন বান্দারা।
২৫তম ওভারের চতুর্থ বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। এই ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিলেন তিনি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারের তালিকায় এখন মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে বসলেন সাকিব। ওয়ানডেতে এক মাঠে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকাতেও ওয়াসিম আকরামের পাশে বসলেন তিনি। ২৪.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৯ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে সাকিবের উইকেটসংখ্যা দাঁড়াল ১২২। ওয়ানডেতে এক মাঠে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ওয়াসিম আকরামের পাশে বসলেন তিনি। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭৭ ম্যাচে ১২২ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানি কিংবদন্তি। শেরেবাংলায় নিজের ৮৪তম ওয়ানডেতে তাঁর সেই কীর্তি ছুঁলেন সাকিব।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মাশরাফির সঙ্গে এখন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাকিব। ২১৮ ম্যাচে ২৬৯ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। সাকিব নিজের ২১১তম ম্যাচে ২৬৯ উইকেট নিলেন।
৩০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে মিডউইকেটে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেন দাসুন শানাকা। ১১ রান করে আউট হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ১০৪ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ থেকে ধীরে ধীরে ছিটকে পড়ছে তারা।
প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রান করা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড আউট করেন মিরাজ। ৬ রান করে আউট হন তিনি। ৩৩.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৪ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। এ পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।
আগের ওভারে হাসারাঙ্গাকে তুলে নেন মিরাজ। পরের ওভারে (৩৫তম) এসে মোস্তাফিজও পেলেন আরেকটি উইকেটের দেখা। তাঁর বলে মিড অফে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ দেন আসেন বান্দারা। ১৫ রান করে আউট হন তিনি। ৩৪.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৬ রান তুলে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের জয় এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।
৩৭তম ওভারে মোস্তাফিজকে মিড অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লক্ষণ সান্দাকান। এর মধ্য দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ। ৩৬.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১২২ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।
৩৮তম ওভার শেষে বৃষ্টিতে বন্ধ হয়েছে খেলা। তার আগে ৯ উইকেটে ১২৬ রান তুলে হারটা স্রেফ সময়ের ব্যাপারে পরিণত করেছে শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে শেষ উইকেটটি তুলে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।
ভারি বৃষ্টিপাত হলেও বেশিক্ষণ তা টেকেনি। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে কাভার সরানো হয়েছে। রাত ৯.৪০ এর মধ্যে খেলা শুরু না হলে ওভার কাটা শুরু হবে।
৩৮তম ওভার শেষে বৃষ্টির কারণে বন্ধ ছিল খেলা। বৃষ্টি থামার পর শেষ পর্যন্ত খেলা গড়াচ্ছে মাঠে। তবে ডি/এল নিয়মে শ্রীলঙ্কাকে যে লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা অর্জন করা স্রেফ অসম্ভব। খেলা হবে আর ২ ওভার। অর্থাৎ ৪০ ওভারের খেলা হবে। জিততে হলে বাকি ২ ওভারে ১১৯ রান করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে (২৪৫ রানের লক্ষ্য)। অর্থাৎ, দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষ হওয়ার আগেই ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে বলে দেওয়া যায়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ!
ডি/এল নিয়মে শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ১১৯ রানের লক্ষ্য স্বাভাবিকভাবেই অতিক্রম করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ডি/এল নিয়মে ১০৩ রানের এই জয়ে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই প্রথম সিরিজ জয় বাংলাদেশের।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। আজ শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ডি/এল নিয়মে ১০৩ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল তামিম ইকবালের দল। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই প্রথম সিরিজ জয় বাংলাদেশের। ওয়ানডে সুপার লিগ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠল বাংলাদেশ।
বৃষ্টি–বিঘ্নিত এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪৮.১ ওভারে ২৪৬ রানে অলআউট হয় তারা। সিরিজ বাঁচাতে মোটামুটি এই সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে লড়াইও গড়ে তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। বোলিংয়ে একপেশে লড়াইয়ে ম্যাচটা জিতেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটির দেখাও পাননি।
সর্বোচ্চ ২৪ রান এসেছে দানুস্কা গুনাতিলকার ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় উইকেট গুনাতিলকা ও পাথুম নিশাঙ্কার ২৯ রানের জুটিই সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের পাঁচ বোলারের সামনে তিল পরিমাণ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ৩টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৩/২৮) ও মোস্তাফিজুর রহমান (৩/১৬)। ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের ইনিংসে কয়েকবার হানা দেয় বৃষ্টি। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ৩৮তম ওভার শেষে আবারও বৃষ্টি নামায় বন্ধ হয়েছিল খেলা। তখন শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ১২৬। ডি/এল নিয়মে খেলা ৪০ ওভারে নামিয়ে এনে বাকি ২ ওভারে জয়ের জন্য ১১৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কাকে। এই ২ ওভারে ১৫ রান তুলতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।
শুক্রবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচসেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ১০ চারে ১২৭ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংস মূলত একাই টেনেছেন মুশফিক। ম্যাচসেরা হয়ে তিনি বলেন, ‘জয় সব সময়ই বিশেষ কিছু আর জয়ে অবদান রাখতে পারলে ভালো লাগে। তবে খারাপ লেগেছে যে শেষ করে আসতে পারিনি, ১১ বল বাকি ছিল। আমরা দ্রুত কিছু উইকেট হারায়, নতুন বলে এমন হয়। তবে আজ রাতে আমাদের বোলিং ছিল বিশেষ কিছু।’