সিলেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পেস দিয়ে ভড়কে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সহজ জয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়ায় মিরপুরেও একই পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা। কিন্তু মিরপুরের উইকেটে পেসারদের উল্টো ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে বাংলাদেশ। উইন্ডিজরা তবু পেসারদের ওপর আস্থা হারাচ্ছে না, আগামীকালের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচেও বাংলাদেশকে হারানোর জন্য পেসারদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে তারা।
শনিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লম্বা এশিয়া সফর। একের পর এক সিরিজ হেরে ক্লান্ত এ দলটি বড়দিনের উপহার হিসেবে জিততে চায় সফরের শেষ সিরিজ। কাল মিরপুরে জয় পেলেই সে ইচ্ছাটা পূরণ হয় তাদের। আর সে লক্ষ্যে পেস বোলাররাই তাদের মূল ভরসা। সিলেটের উইকেটে তাদের বাড়তি গতিতে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারবার। কিন্তু মিরপুরে আর সেটা হয়নি। মিরপুরের প্রথাগত ধীরগতির উইকেটে এই বাড়তি পেসে সুবিধাই হয়েছে বাংলাদেশের। ৪ পেসারের ১৬ ওভার থেকে ১৭৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। শেলডন কটরেলই যা একটু ভালো করেছেন। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটের পর গতকালও পেয়েছেন ২ উইকেট। সে তুলনায় একমাত্র স্পিনার অ্যালেন ভালো করেছেন, ১ উইকেট পেতে দিয়েছেন মাত্র ২৯ রান।
অলরাউন্ডার কিমো পল স্বীকার করেছেন মিরপুরের উইকেট সিলেটের উইকেটের চেয়ে ভিন্ন। কিন্তু সেটা ভেবে দলে স্পিনার বাড়ানোর চিন্তা করছে না উইন্ডিজ। পলের কথায় অন্তত দলের কম্বিনেশন ভাঙার কোনো ইঙ্গিত নেই, ‘আমি এটা বলব না (দলে পরিবর্তন আনা হবে কি না)। কিন্তু আমাদের মূল শক্তি হলো পেস বোলিং এবং জেতার জন্য আমরা পেসেই জোর দেব।’
পেসনির্ভর হলেও চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনা যাবে না, এমনটাও আবার বলেননি পল। আরেকটি সিরিজ হারার হাত থেকে বাঁচতে দলের কৌশলে যে একটু হলেও পরিবর্তন আসবে, সেটা জানিয়ে দিয়েছেন এই পেস বোলার অলরাউন্ডার, ‘দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন উইকেট। প্রতি ম্যাচের জন্য তাই আমরা একই পরিকল্পনা করতে পারিনি। আমরা এ নিয়ে ভেবেছি এবং শেষ ম্যাচ জেতার জন্য ভালো পরিকল্পনা নিয়েই আসব।’