বাংলাদেশে পা রেখেই তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে চলে যেতে হয়েছিল। কোয়ারেন্টিন শেষ করে গতকাল প্রথম অনুশীলন করেছে শ্রীলঙ্কা দল। আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন অনুশীলন করেই দলটির পেসার ইসুরু উদানা জানিয়ে দিলেন— বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজের জন্য তাঁরা পুরোপুরি তৈরি।
করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে ক্রিকেট চলছে নতুন নিয়মে। যেখানে যে দলই সফরে যাক না কেন, মেনে চলতে হয় করোনার বিধিনিষেধ। সফরের পুরোটা সময়ে থাকতে হয় জৈব সুরক্ষাবলয়ে। মানসিকভাবে অনেক ক্রিকেটারের জন্যই ব্যাপারটা কঠিন। তবে উদানা এ পরিস্থিতির জন্যও প্রস্তুত। নতুন স্বাভাবিক নিয়ম মেনে নিয়েই ভালো কিছুর আশা তাঁর, ‘আমাদের এখন জৈব সুরক্ষাবলয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। আমার মনে হয় আমরা এখন খেলার জন্য প্রস্তুত। (এখানে আসার আগে) কলম্বোতে আমরা ৫–৬ দিনের অনুশীলন ক্যাম্প করেছি। এখানেও দুটি অনুশীলন সেশন পেয়েছি। সব মিলিয়ে আমরা তৈরি।’
২০১৮ সালের সফরে ঢাকা ও সিলেটে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। দুই ম্যাচে পেয়েছেন ২ উইকেট। বাংলাদেশে এর বাইরে উদানার অভিজ্ঞতা বলতে বিপিএলে খেলা। সে সুবাদে এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে কিছুটা পরিচয় তাঁর আগে থেকেই আছে। এবারের সফরে সে অভিজ্ঞতা ভালোই কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস এই বাঁহাতি পেসারের, ‘আমি চার-পাঁচ মৌসুম বিপিএলে খেলেছি। আমার অভিজ্ঞতা আছে এখানে খেলার। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে কোনো ম্যাচ জিততে হলে সেরাটা দিতে হয়। আমরা এখন সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছি।’
তবে বাংলাদেশের মাটিতে অন্তত ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারানোটা যে এখন সব দলের জন্যই একটু কঠিন, সেটি ভালো করেই জানেন উদানা। তারপরও তিন ওয়ানডের সিরিজে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি, ‘বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার আছে। আর আমরা এসেছি তরুণ একটি দল নিয়ে। আর আমরা খুব ভালো করেই জানি যে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ বিপজ্জনক দল। তবে আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমরা এখানে বাংলাদেশকে হারাতেই এসেছি।’
শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ পেস আক্রমণে ১৮টি ওয়ানডে আর ৩০টি টি–টোয়েন্টি খেলা উদানার চেয়ে অভিজ্ঞ কেবল ১১টি টেস্ট, ২৫টি ওয়ানডে ও ২২টি টি-টোয়েন্টি খেলা দুশমন্ত চামিরাই। বাকিদের মধ্যে শিরান ফার্নান্দোর এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই হয়নি। তবে তরুণদের ওপর অনেক আস্থা উদানার, ‘প্রতি ম্যাচেই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়। আমি হয়তো অভিজ্ঞ, কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে একজন তরুণ বোলার আমার চেয়ে ভালো করতে পারে। তাই আমাদের দল হয়ে খেলতে হবে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে হবে।’
উদানার বোলিংয়ের বড় অস্ত্র স্লোয়ার ডেলিভারি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ঝামেলায় ফেলতে নিশ্চয়ই সেই অস্ত্রটাই বেশি ব্যবহার করতে চাইবেন তিনি। উদানার কথায়ও সেই আভাস, ‘যখন দেখব উইকেট কিছুটা স্লো, স্লোয়ার ব্যবহার করে সফল হওয়া যাবে, তখন আমি এই ডেলিভারি দিতে পারব। যখন বুঝি যে এই বল করলে সাফল্য পাব, তখনই এটা করি।’