টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতায় পর খালেদ মাহমুদকে ‘টিম ডিরেক্টর’ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও নতুন দায়িত্ব নিয়ে এর মধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। কাল প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মাহমুদ জানিয়েছেন নতুন দায়িত্ব ও বাংলাদেশ দল নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা
জাতীয় দলের ‘টিম ডিরেক্টর’—নতুন এই দায়িত্বকে কীভাবে দেখছেন?
এটা আমার জন্য তেমন নতুন কিছু না। আমি এর আগেও এমন দায়িত্বে ছিলাম। হয়তো নামটা ভিন্ন ছিল। এবার কাজের ধরনটা কী হবে, আমি বোর্ডের কাছে পরিষ্কার হতে চেয়েছি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার কতটা অবদান থাকবে, এসব বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপাতত কয়েকজন ছেলেকে নিয়ে কাজ করছি। যেহেতু এখন কোনো কোচ নেই দলের সঙ্গে। নির্বাচকেরা দেখতে চেয়েছিল ওরা কী অবস্থায় আছে।
এর আগেও প্রায় একই দায়িত্বে জাতীয় দলে কাজ করেছেন। এবার কাজের ধরনে কী পার্থক্য থাকবে?
পার্থক্য থাকবে। কিছু জিনিস আমার এখতিয়ারে থাকবে। আমাকে বলা হয়েছে, কাজের পরিধিটা একটু বাড়বে। সেটা কী, তা আমি এখনই বলতে চাই না। আমি চাই বিষয়টা আনুষ্ঠানিকভাবে আসুক, তাহলে ভালো হবে। তবে কোচিংয়ে আমার কোনো দায়িত্ব থাকবে না। দলের ব্যবস্থাপনা করা, নির্বাচনপ্রক্রিয়া দেখা, পরিকল্পনা করা—এসবই হবে আমার দায়িত্ব।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সময়ও আপনি দলের ম্যানেজার ছিলেন। তখনো জাতীয় দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আপনিই নিতেন…
হাথুরুর সঙ্গে আমি যেভাবে কাজ করেছি, এবার অনেকটা সে রকমই হবে। তার সঙ্গে আমার রসায়নটা ভালো ছিল। সে আমাকে বিশ্বাস করত। কোচের সঙ্গে এই বিশ্বাসের ব্যাপারটা থাকতে হবে। কোচকে বাদ দিয়ে তো কিছু করা যাবে না। তাকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে।
রাসেল ডমিঙ্গোর ক্ষেত্রেও একই রসায়ন প্রত্যাশা করছেন?
ডমিঙ্গোর সঙ্গে আমি অল্প কিছুদিন কাজ করেছি। তখন আমি তাকে খুব ভালো করে জানতাম না। কাজের ধরনও বুঝতাম না। আমার মনে হয় আমাদের দুজনের যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতির সুযোগ আছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এমন পারফরম্যান্সের পর বাংলাদেশ দলে কী ধরনের পরিবর্তন দেখতে চান?
আমরা ভালো খেলিনি, এটাই শেষ কথা। আমাদের টি-টোয়েন্টির কাঠামোটা কী, কীভাবে খেলতে চাই, প্রতিপক্ষ কীভাবে খেলছে—এসব নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাদের একটা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। কারণ, আপনি তো বলেকয়ে একজন জস বাটলার তৈরি করতে পারবেন না। এটা সময়ের ব্যাপার। আমরা সেই পথেই এখন এগোতে চাই।
ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে…
আমাদের এখানে মাঠের স্বল্পতা আছে। আমরা কেউই এটা মানতে চাই না। বলার সময় কেউ বলিও না। আমরা প্রিমিয়ার লিগে যখন খেলি, তখন কয়টা মাঠে খেলি? বিকেএসপিতে প্রতিদিন খেলতে খেলতে দেখা যায় কিউরেটররা উইকেট তৈরির সময়ই পায় না। ইংল্যান্ডে দেখবেন মাঠের অভাব নেই। কত জায়গায় খেলে ওরা। আমাদের যদি আরও মাঠ থাকত, তাহলে উইকেটগুলোও বিশ্রাম পেত, খেলাও ভালো হতো।
এই সমস্যা তো নতুন নয়। বোর্ড চাইলে সমাধান নিশ্চয়ই এত দিনে হয়ে যেত...
আমরা সব সময় আগামীকাল কী হবে, সেটাই শুধু ভাবি। দীর্ঘ মেয়াদে যদি না ভাবি, তাহলে তো সমস্যা। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। আমরা এবার সেই চেষ্টাই করব।