বদলি খেলোয়াড়ের নতুন নিয়ম চালু করল আইসিসি

দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তর। ছবি: আইসিসি
দুবাইয়ে আইসিসির সদর দপ্তর। ছবি: আইসিসি
>

অ্যাশেজ থেকেই দেখা যাবে মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি। লন্ডনে বার্ষিক সম্মেলনে কাল এ নিয়ম পাশ করেছে আইসিসি। এ ছাড়া স্লো ওভার রেট নিয়েও নিয়ম পাল্টানো হয়েছে

মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানোর নিয়ম পাশ করেছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব সংস্করণ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মটি কার্যকর হবে। লন্ডনে আইসিসির চলতি বার্ষিক সম্মেলনে কাল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংস্থাটির নীতিনির্ধারকেরা।

নিয়মটি পাশ করার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুই বছর মহড়া দিয়েছে আইসিসি। মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানো হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। আগেই জানা গিয়েছিল, আইসিসি এ নিয়ম পাশ করলে তা চালু হবে অ্যাশেজ সিরিজ থেকে। সে অনুযায়ী, ১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজ সিরিজ থেকেই চালু হচ্ছে নিয়মটি। এবারের অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০১৯-২০২১ মেয়াদি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ।

আইসিসির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বদলি নামানোর সিদ্ধান্ত চালু থাকবে এবং সেটি নেবেন দলের চিকিৎসা প্রতিনিধি। বদলি খেলোয়াড়কে অভিন্ন হতে হবে এবং ম্যাচ রেফারির অনুমোদন লাগবে।’এর আগে জানা গিয়েছিল, শুধু টেস্ট ক্রিকেটে মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানোর নিয়ম চালু হতে পারে। কিন্তু আইসিসি ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেটে সব সংস্করণেই এ নিয়ম পাশ করল।

মাথায় আঘাত পেলে বদলি খেলোয়াড় নামানোর আলোচনা বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ওপেনার ফিলিপ হিউজ শেফিল্ড শিল্ডে ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ওই ঘটনার তদন্ত করার পরই বিষয়টি সবার সামনে চলে আসে। আর ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছিল যখন বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেও খেলোয়াড়দের মাথায় আঘাত পাওয়ার স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে সচেতন হয়ে উঠেছিল।

২০১৬-১৭ মৌসুমে ছেলে ও মেয়েদের ঘরোয়া ক্রিকেটে মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের বদলি নামানোর নিয়ম চালু করে অস্ট্রেলিয়া। তবে শেফিল্ড শিল্ডে এ নিয়ম চালুর জন্য তাদের আইসিসির অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৭ সালের মে মাস পর্যন্ত। এবার বিশ্বকাপেও হাশিম আমলা ও উসমান খাজার মতো ব্যাটসম্যান মাথায় আঘাত পান।

লন্ডনে বার্ষিক সম্মেলনে স্লো ওভাররেট নিয়েও একটি নিয়ম পাল্টানো হয়েছে। মারাত্মক স্লো ওভার রেট এবং তার পুনরাবৃত্তি ঘটলে এখন থেকে আর অধিনায়ক নিষিদ্ধ হবেন না। স্লো ওভার রেটের দায় নিতে হবে দলের সব খেলোয়াড়কে। অধিনায়ক এবং তাঁর সতীর্থদের একই অঙ্কের জরিমানা হবে। এ ছাড়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে দল ওভার রেটে পিছিয়ে থাকবে ম্যাচ শেষে প্রতিটি স্লো ওভারের জন্য কাটা হবে দুটি করে কমপিটিশন পয়েন্ট।