খালেদ মাসুদ
খালেদ মাসুদ

স্টাম্প ভিশন

ফিল্ডিংয়ে আরও মনোযোগ দিতে হবে

একটা কথা আমরা জানি এবং সবাই বলি—ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস! আর সেটা কত বড় সত্য, তা এ ম্যাচে বাংলাদেশ খুব ভালোভাবেই বুঝেছে। আমি তো বলব, ওই দুটি ক্যাচ মিসই বাংলাদেশকে হারিয়েছে। আমার মনে হয়, শুধু আমি নই, যাঁরা খেলা দেখেছেন, তাঁদের সবাই এই একই কথা বলবেন।

গত কিছুদিন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের যে অবস্থা দেখেছি, সেই তুলনায় এ ম্যাচে ব্যাটিং অনেক ভালো হয়েছে। মুশফিকুর রহিমের রান পাওয়াটা ভালো ব্যাপার ছিল। সব বিবেচনায় বাংলাদেশের ১৭১ রানকে ভালো সংগ্রহই বলব আমি। কিন্তু রানটা আরেকটু বেশি হতে পারত। শারজার বাউন্ডারি একটু ছোট। এখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উচিত ছিল ছোট মাঠের সুবিধা নিয়ে আরও বেশি বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি মারা। কিন্তু সেটা তারা পারেনি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে দুটি সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি লিটন

ধরুন যে আরও দুটি ছয় বা দুটি চার বেশি মারত বাংলাদেশ। তাতেই-বা কী হতো! ২০ বা ২৫ রানই বেশি হতো। কিন্তু লিটন যেভাবে দুটি সহজ ক্যাচ মিস করেছে, এভাবে করলে আপনি যত রানই করুন না কেন, ম্যাচ জেতা যায় না। এমনিতে লিটন খুব ভালো ফিল্ডার, ও কীভাবে এমন ক্যাচ ফেলল, সেটা বুঝতে পারছি না। ব্যাটে রান পাচ্ছে না, সমালোচনা হচ্ছে—সব মিলিয়ে হয়তো সে বিষণ্নতায় ভুগছে। এ কারণেই হয়তো বল ঠিকভাবে দেখতে পায়নি।

ফিল্ডিং হতাশ করেছে বাংলাদেশকে

অনেকেই হয়তো বলবে যে বাংলাদেশের বোলিংটাও গোছানো ছিল না। কিন্তু আমি এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত হব না। আপনার ফিল্ডিং যত ভালো হবে, বোলিংও ততই ভালো হবে। লিটন ওই ক্যাচ দুটি নিতে পারলে ম্যাচের মোড় ঘুরে যেত বলেই মনে হয় আমার। একটি ক্যাচ ছিল চারিত আসালাঙ্কা, আরেকটি ভানুকা রাজাপক্ষের। এ দুজনই তো ম্যাচটি বাংলাদেশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। আসালাঙ্কা ৪৯ বলে ৮০ রানে অপরাজিত ছিল আর রাজাপক্ষে আউট হয়েছে ৩১ বলে ৫১ রান করে।

ভালো বল করেননি সাইফউদ্দিন

তবে এটাও ঠিক যে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যে একটি ওভারে ২২ রান দিয়েছে, সেটা একটু বেশিই ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। এ ছাড়া সেই ওভারে তার যে রকম বল করা উচিত ছিল, তা সে পারেনি। ওই ওভারে তার উচিত ছিল ইয়র্কার বল করে বা পায়ের কাছে বল করে বাউন্ডারি আটকে রাখা। উইকেট না নিতে পারলেও চলত। সে যদি রানটা কম দিত, ২২ রান না দিয়ে ১০ রানও দিত, তাহলেও আমাদের আশা শেষ ওভার পর্যন্ত বেঁচে থাকত হয়তো। কিন্তু কিছু করেছে লেংথ বল আর কিছু ফুলটস। ইনিংসের এ পর্যায়ে এটা কাম্য ছিল না। ও ভালো বল করে রানটা আটকাতে পারলে সাকিব আর মোস্তাফিজ এসে শেষের দিকে হয়তো ভালো কিছু করলেও করতে পারত।

এখন আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। এ ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো করার কথা ভাবতে হবে। ব্যাটিং-বোলিংয়ের সঙ্গে বিশেষ করে মনোযোগ দিতে হবে ফিল্ডিংয়ে ভালো করার দিকে।