হারতে কার ভালো লাগে? কারও না। হারের পর অনেকেই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেন। অনেকেই নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার কথা বলে প্রতিপক্ষের প্রশংসায় ভাসেন। আবার অনেকেই হোসে মরিনহোর মতো একের পর এক অজুহাত হাজির করেন। কেউবা ট্যাকটিকসের দোষ খোঁজেন, কেউবা ভাগ্যের। কেউ ধরে নেন, দিনটি তাঁর ছিল না। তাই বলে হারের জন্য বায়ু ত্যাগের মতো বিষয়কে টেনে আনাটা বোধ হয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু সেটাই হলো এবার।
উলভারহ্যাম্পটনে চলছে ডার্টের গ্র্যান্ড স্লাম। দুবারের স্কটিশ চ্যাম্পিয়ন গ্যারি অ্যান্ডারসন কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পথে ১০-২ গেমে হারিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ওয়েসলি হার্মসকে। ডার্টের দুনিয়ার আরেকটি স্বাভাবিক দিন বলেই একে দেখছিল সবাই। কিন্তু হার্মসের এক অভিযোগে পুরো ব্যাপারই বদলে গেছে। ৩৪ বছর বয়সী এই ডাচের দাবি, অ্যান্ডারসনের কাছ থেকে আসা ‘ডিম পচা’ গন্ধের কারণেই ভালো খেলতে পারেননি! স্বদেশি টিভি আরটিএলসেভেনএলকে হার্মস বলেছেন, ‘আমার নাক থেকে এ গন্ধ দূর হতে অন্তত দুই রাত লাগবে।’
এমন অভিযোগ ধেয়ে এলে কারোরই ভালো লাগার কথা নয়। সেটা লাগেনি বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৪ নম্বরে থাকা অ্যান্ডারসনেরও। স্কটিশ চ্যাম্পিয়নের দাবি, গন্ধটা তাঁর নাকেও এসেছিল। তবে সেটা পাশের টেবিল থেকে এসেছে, ‘যদি ও ধারণা করে আমি বায়ু ত্যাগ করেছি, তবে সে ১০১০ শতাংশ ভুল। আমি আমার বাচ্চাদের ওপর কসম কেটে বলছি, এটা আমার দোষ নয়। আমি পেটে সমস্যা নিয়ে এর আগে স্টেজে উঠেছি এবং সেটা প্রতিবারই স্বীকার করেছি। সুতরাং এবার নিশ্চয় স্টেজে বায়ু ত্যাগ করা নিয়ে মিথ্যা বলব না।’
অ্যান্ডারসনের দাবি, তিনি উল্টো ভেবেছিলেন শরীর থেকে চাপ কমানোর কর্মটা হার্মসই করছেন! স্টেজে নাকি যতবারই প্রতিপক্ষের পাশ দিয়ে গেছেন, তখনই নাক কুঁচকাতে হয়েছিল ৪৭ বছর বয়স্ক এই খেলোয়াড়কে, ‘যতবার ওর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম ডিম পচা গন্ধ আসছিল। তাই ভেবেছিলাম সম্ভবত কাজটা ও করছে। ওটা খুব বাজে ছিল, খুবই বাজে গন্ধ ছিল কিছুক্ষণ, এরপরই ও (হার্মস) ভালো খেলতে শুরু করল। আমি ভাবলাম ,কে জানে হয়তো বায়ু ত্যাগ করাটা দরকার ছিল ওর।’
দুজনের এমন পাল্টাপাল্টি অভিযোগে তাই রহস্যের সমাধান মিলছে না। তবে যে-ই কাজটা করুন, তাঁর প্রতি অ্যান্ডারসনের একটি অনুরোধ, ‘যে এ কাজ করেছে, তার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। ওর (হার্মস) মনে হয়েছে এটা আমি করেছি, কিন্তু আমি হলে স্বীকার করতাম।’