>স্থগিত হয়ে যাওয়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি–মার্চে আয়োজনের কথা ভেবেছিল আইসিসি। পাকিস্তান সুপার লিগের ( পিএসএল) জন্য তা সম্ভব হয়নি
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ায় সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে আইপিএল আয়োজনের কথা ভাবছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। গুঞ্জন চলছে শুধু আইপিএল আয়োজন করতেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত রাখার চাপ সৃষ্টি করেছিল বিসিসিআই। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটুকু নিশ্চিত যে এ বছর আর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হচ্ছে না। আইপিএলের কথা ভাবলে সে ক্ষেত্রে বিসিসিআইয়েরই তো লাভ। ভীষর্ণ অর্থকরি এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করে দু–পয়সা ঘরে তুলতে পারবে ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু বিসিসিআই কি শুধু তাঁদের লাভেরই কথাই ভেবেছে?
বাসিত আলীর ভাষ্য, না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও বিসিসিআই তাদের প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কথাও ভেবেছে। পাকিস্তানে নির্দিষ্টসূচি মেনে টি–টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পিএসএল হোক, সেটা বিসিসিআইয়েরও চাওয়া। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এমন কথাই বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলি।
বাসিতের দাবি অনুযায়ী, আইসিসির এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি–মার্চে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে আয়োজনের কথা ভেবেছিল। কিন্তু সে সময়ে পিএসএলের সূচি নির্ধারিত করে রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ( পিসিবি)। আর পিএসএলের সূচি পাল্টাতে আপত্তির কথা তারা আইসিসিকে জানিয়েও দেয়। বাসিত আলী জানিয়েছেন, আইসিসির সঙ্গে এ বৈঠকে অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলোর মধ্যে বিসিসিআই সবার আগে সমর্থন জানিয়েছে পিসিবির প্রতি। এরপর সমর্থন দিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
পাকিস্তানের হয়ে ১৯ টেস্ট ও ৫০ ওয়ানডে খেলা সাবেক এ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিশ্বকাপ হবে না। ভাবা হয় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি–মার্চে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে। পিসিবি জানিয়ে দেয়, তারা এ ব্যাপারে একমত নয়। কারণ ওই সময়ে পিএসএল আয়োজন করা হবে এবং ওখান থেকে উপার্জিত অর্থ ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যয় করা হয়। বিসিসিআই–ই প্রথম পিসিবিকে (এহসান মানির) সমর্থন জানিয়েছিল এবং বলেছিল ফেব্রুয়ারি–মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পিএসএল তারা কীভাবে বাতিল করবে।’ বাসিত যোগ করেন, ‘ইসিবি প্রধানও আমাদের পক্ষে কথা বলেন। যে কারণে আইসিসিও আগামী ফেব্রুয়ারি–মার্চে বিশ্বকাপ আয়োজনের চিন্তা বাদ দেয়।’