>পাকিস্তানের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনে তাঁর সতীর্থরা ম্যাচ পাতিয়েছেন বলে দাবি করেছেন শোয়েব আখতার। তখন প্রচুর পাতানো খেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তি এ পেসার
পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ পাতানো কিংবা স্পট ফিক্সিং নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু না। ২০১০ সালে আমির-আসিফ-বাটদের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি এখনো অনেকে ভোলেননি। এ ছাড়াও ছোটখাটো বিতর্ক তো লেগেই আছে। এবার পাতানো খেলা নিয়ে পাকিস্তানের একটি ওয়েব টিভি টক শো-তে মুখ খুললেন কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার। তাঁর ভাষায়, শুধু এ কারণে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সতীর্থদেরও মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।
‘রিউইন্ড উইথ সামিনা পীরজাদা’ নামের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সাবেক এ পেসার বলেন, ‘সব সময় বিশ্বাস করেছি, পাকিস্তানের সঙ্গে কখনো প্রতারণা করতে পারি না, কোনো ম্যাচ পাতানো নয়। আমার চারপাশ ঘিরে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িতরা ছিল। যেন ২২জনের বিপক্ষে খেলছি—১১জন প্রতিপক্ষের বাকি ১০জন আমাদের। তখন প্রচুর ম্যাচ পাতানো হয়েছে। কোন কোন ম্যাচ পাতানো এবং কীভাবে তা করা হয়েছে সেসব (মোহাম্মদ) আসিফ বলেছে আমাকে।’
আমির-আসিফদের লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন শোয়েব। রাগও হয়েছিল। খেলোয়াড়ি জীবনে গতির ঝড় তোলা এ পেসার তাঁদের সে ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছিলাম আমির-আসিফকে বোঝানোর। প্রতিভার কী নিদারুণ অপচয়! ওই ঘটনা (স্পট ফিক্সিং) শোনার পর ভীষণ খারাপ লেগেছিল এবং হতাশায় দেয়ালে ঘুষিও মেরেছিলাম। পাকিস্তানের সেরা দুজন বোলার, স্মার্ট, বুদ্ধিমান এবং নিখুঁত ফাস্ট বোলার। সামান্য কিছু টাকার কাছে তারা নিজেদের বেচে দিয়েছিল।’
আসিফ ও সালমান বাট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে না পারলেও আমির পেরেছেন। সবশেষ বিশ্বকাপেও খেলেছেন এ পেসার। কিন্তু গত জুলাইয়ে মাত্র ২৭ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে সবাইকে আরেকবার চমকে দেন আমির।