বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গেছে পাকিস্তানের। এ নিয়ে রসিকতা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
ক্রিকেট যেহেতু ‘ভদ্রলোকের খেলা’, তাই রসিকতাটুকু নির্মম মনে হতেই পারে। পাকিস্তানের সমর্থকদের জন্য তো বটেই। দলটির সেমিফাইনালে ওঠার আশা টিকে আছে শুধু গাণিতিকভাবে। বাস্তবে নেই বললেই চলে। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীরা রসিকতার ছলে এই অবাস্তব সমীকরণটাই মেলানোর চেষ্টা করছেন। কাল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে এই নির্মম রসিকতা।
ইংল্যান্ডের কাছে গতকাল ১১৯ রানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। এতে চতুর্থ দল হিসেবে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার আশার অপমৃত্যুই ঘটেছে। গ্রুপ পর্বে কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। কাল ইংল্যান্ড হারলে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুধু জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হতো পাকিস্তানের। কিন্তু ফলটা উল্টো হওয়ায় পাকিস্তানের সামনে এখন অসম্ভব লক্ষ্য। কতটা অসম্ভব, তার উদাহরণ দেওয়া যায়—বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান আগে ব্যাট করে যদি ৩৫০ রান করে, তাহলে তাদের জিততে হবে ৩১১ রানের ব্যবধানে। ৪০০ করলে জিততে হবে ৩১৬ রানে, আর ৪৫০ করলে বাংলাদেশকে হারাতে হবে অন্তত ৩২১ রানের ব্যবধানে। আর টস জিতে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে বিদায় নিশ্চিত হবে তখনই!
পাকিস্তানের নির্মম এ পরিস্থিতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন অনেকেরই হাস্যরসের খোরাক। ভারতের এক ক্রিকেটপ্রেমী যেমন টুইট করেছেন, ‘পাকিস্তান ১০০০ রান করে বাংলাদেশকে যদি তাড়া না করার অনুরোধ করে এবং ম্যাচে পাকিস্তানকে যদি জয়ী ঘোষণ করা হয়। তখন কি আমরা সেমিতে যেতে পারব।’ আরেক ক্রিকেটপ্রেমী অবশ্য এক কাঠি সরেস। তাঁর টুইট, ‘অনেক হিসাব-নিকাশ করে পাকিস্তানকে সেমিতে তোলার যে পথ বের করলাম—আমরা টস জিতে ৩৫০ রান তোলার পর ইনিংস বিরতির সময় বাংলাদেশ দলকে টয়লেটে আটকে রাখা যেতে পারে।’ দু-একজন আবার অন্য পথও দেখছেন, ‘বাংলাদেশ দল ম্যাচটা খেলতে না এলে পাকিস্তান কি সেমিতে উঠতে পারবে? স্রেফ জানার জন্য বললাম’—টুইট করেন এক ক্রিকেটপ্রেমী।