মোহাম্মদ আমির টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন—এই খবরটাই অনেকে মানতে পারছেন না। এরই মধ্যে খবর এল, এই পেসার আসলে পাকিস্তানই ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন। না, নাগরিকত্ব নয়; আমির দেশটাই কেবল ছাড়ছেন। থিতু হতে চাইছেন যুক্তরাজ্যে। এই খবর বিস্মিত করেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকদের।
২০১৬ সালে আমির বিয়ে করেন নার্গিস মালিককে। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক নার্গিস মালিককে। এই বিয়ের সুবাদেই ‘স্পাউস ভিসা’য় আমির ৩০ মাস ইংল্যান্ডে অবস্থান করতে পারেন। তবে এভাবে ভিসা নিয়ে আর নয়। আমির এবার স্থায়ী নাগরিকত্বের জন্যই আবেদন করতে চাইছেন। যুক্তরাজ্যে বাড়ি কিনে সেখানেই থিতু হওয়ার ইচ্ছা তাঁর। এমনটাই জানিয়েছে আমিরের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র।
২৭ বছর বয়সী আমির কদিন আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। এখন থেকে শুধু ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলবেন। এর মধ্যেই তাঁর যুক্তরাজ্যে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা জানার পর পাকিস্তানি সমর্থকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যাদের মধ্যে নেতি প্রতিক্রিয়াই বেশি।
পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়তো এখনো হয় না। হোম সিরিজগুলোও পাকিস্তানকে আয়োজন করতে হয় আরব আমিরাতে। কিন্তু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যখন শুরু হচ্ছে, সে সময়ে পিসিবি আবারও পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়মিত শুরুর তোড়জোড় চালাচ্ছে। যে শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে পাকিস্তানে পূর্ণ ক্রিকেট সিরিজ থেমে গিয়েছিল নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার কারণে, তারাই আবার সফর করতে রাজি হয়েছে বলে খবর।
আমিরের কাছের সূত্রটি জানিয়েছে, সন্তান বড় হচ্ছে। এখনই ভবিষ্যতের কথা ভেবে কোথাও থিতু হওয়ার সময় বলে মনে করেন তিনি। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বদলে যুক্তরাজ্যই তাঁর বেশি পছন্দ হওয়াই স্বাভাবিক। তবে ক্রিকেটের সঙ্গে দেশপ্রেম মিলিয়ে দেখা হয় বলে আমিরের পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। এমনিতেই আমির এখনই টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে ঠিক করেননি বলে ওয়াসিম আকরামের মতো সাবেকেরা খেপে আছেন।
যুক্তরাজ্য দেশটি আমিরের জীবনের সঙ্গে ভালোভাবেই জড়িয়ে আছে। এখানেই স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়ায় ব্রিটিশ আইনে জেলও খাটতে হয়েছে আমিরকে। তবে সেসব পেছনে ফেলে আমির এখন নতুন করে সব শুরু করেছেন।