>পাকিস্তান সফরে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে দেশটির প্রতি একটু অবিচারই করা হয়ে বলে মনে করেন মঈন আলী
পাকিস্তান সফর? বেশির ভাগ দলই আগে নিরাপত্তার কথা ভেবে থাকে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার টিমবাসে বোমা হামলার পর থেকেই এই অবস্থা চলছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ এর মধ্যে পাকিস্তান সফরে গেলেও অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো বরাবরই এড়িয়ে গেছে। যদিও ইংল্যান্ডেরই অলরাউন্ডার মঈন আলী মনে করেন, পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে সবার এই প্রশ্নবোধক মনোভাবে দেশটির প্রতি অবিচারই করা হয়।
৩২ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার পিএসএলে খেলছেন মুলতান সুলতানসের হয়ে। এ টুর্নামেন্টেই পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেছেন মঈন। তাঁর মতে, সেভাবে ভাবলে পৃথিবীতে কোনো জায়গাই পুরোপুরি নিরাপদ না। কারণ অপরাধ বেড়েই চলছে। এ প্রসঙ্গে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গও টেনেছেন মঈন।
২০১৬ সালে গুলশানে হলি আর্টিজানে মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ সফরে আসতে রাজি হননি ইংল্যান্ডের কিছু ক্রিকেটার। নিয়মিত অধিনায়ক ইয়োন মরগান তখন সফরে আসেননি। ইসিবির পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ ঘুরে গিয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার পরই আসতে রাজি হয়েছিল ইংল্যান্ড। মঈন সে প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমি মনে করি (পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন) একটু অবিচারই করা হয়, কারণ পৃথিবীতে আপনি কোথাও নিরাপদ নন। এটা যেকোনো মুহূর্তে যে কোথাও ঘটতে পারে, এমনকি ইংল্যান্ডেও। এমনিতে সাধারণ ধারণা, এখানে (পাকিস্তানে) আসা অনিরাপদ।’
মঈন এরপর বলেন, ‘আমার পাল্টা যুক্তি হলো, কোথাও নিরাপদ জায়গা নেই। হ্যাঁ, কিছু জায়গায় আপনি নিজেকে বেশি নিরাপদ ভাববেন। তবে এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিন্তু খুব উন্নত হয়েছে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশেও আমরা একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। কিছু ক্রিকেটার সেখানে সফরে যায়নি। কিন্তু ওখানে (নিরাপত্তা) দারুণ ব্যবস্থা ছিল।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে বাংলাদেশের সামনে এখন পাকিস্তান সফর। গত দুই মাসে পাকিস্তানে গিয়ে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট খেলে এসেছে বাংলাদেশ। করাচিতে ৩ এপ্রিল ওয়ানডের পর ৫-৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা ইস্যুতে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হননি মুশফিকুর রহিম।