মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫৩ রানে হেরে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে হারের স্কোরলাইন দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াইটা ঠিক বোঝা যায় না। তিনটি ওয়ানডেতেই ক্যারিবীয়রা লড়েছে। প্রথম ম্যাচে বাবর আজমের শতকের পর খুশদিল শাহের ছোট্ট এক ঝড়েই কপাল পোড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। পাকিস্তানে ৩–০–তে ওয়ানডে সিরিজে হারার পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। তবে তিনি সেই হতাশা ভুলতে এখন তাকিয়ে বাংলাদেশের দিকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ এখন উইন্ডিজে। ১৬ জুন থেকে অ্যান্টিগায় শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এরপর ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট। তিনটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচের দুটি ডমিনিকায়, ২ ও ৩ জুলাই। শেষ টি–টোয়েন্টি ম্যাচটি গায়ানায়—৭ জুলাই। ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই গায়ানায় হবে তিনটি ওয়ানডে।
পুরান মনে করেন, পাকিস্তান সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য দারুণ শিক্ষণীয়। দলের পারফরম্যান্সে গর্ব করার মতো তিনি খুঁজে পাচ্ছেন অনেক কিছুই। স্পিনার আকিল হোসেনের ব্যাটিং পারফরম্যান্সেরও প্রশংসা ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে। মুলতানে গত রাতে তৃতীয় ওয়ানডেতে আকিল ৩৭ বলে ৬০ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি। পুরান মনে করেন, দল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানে মন্দ করেননি, ‘শেষ দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য কিছুটা হতাশার। তবে আমরা দল হিসেবে মন্দ করিনি। আমরা পাকিস্তানের মাটিতে এই সিরিজ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি।’
বাংলাদেশ সিরিজের দিকেই চোখ পুরানের, ‘আর কদিন পরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে। আমরা এই সিরিজটির দিকে চেয়ে আছি। আশা করি, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে অনেক শিক্ষাই বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজে লাগবে।’