টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’দের সঙ্গে লড়াই স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি একটা মাত্রা পাবে পাকিস্তানের জন্য। তবে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অগ্নিচক্ষু থাকবে অন্য দুটি ম্যাচের দিকেও—নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। এ দুই দলের বিপক্ষে একরকম ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ দিয়েই রেখেছে পাকিস্তান! দেশটার ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রমিজ রাজা নিজেই বলেছেন, এ দুই দলের বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের হতাশা উগড়ে দিতে। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের ‘আচরণ’।
নিরাপত্তার কারণে সফর বাতিল করে পাকিস্তান ছেড়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। সফরে না আসার ঘোষণা দিয়েছে ইংল্যান্ডও। এটার ‘জবাব’ মাঠের লড়াইয়ে দিতে চায় পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের সঙ্গে অবশ্য অন্তত সেমিফাইনালের আগে দেখা হবে না পাকিস্তানের। তবে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ২৭ অক্টোবর শারজায় নিউজিল্যান্ড খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
নিউজিল্যান্ডের হেড কোচ গ্যারি স্টিড পাকিস্তানের হতাশাটা বুঝতে পারছেন। তবে আপাতত ‘সাদা পতাকাই’ ওড়ালেন তিনি। পাকিস্তান সফর বাতিল নিয়ে তাঁর দল ও খেলোয়াড়দের কিছু করার ছিল না বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন কোচ।
সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর বিশ্বকাপের আগের প্রস্তুতির দিকেই এখন নজর দিতে চান নিউজিল্যান্ড কোচ, ‘অবশ্যই পাকিস্তানে সবাই এটা নিয়ে মাতামাতি করবে। তবে এ ম্যাচটা তাদের বিপক্ষে আর দশটা ম্যাচের মতোই হবে আমাদের জন্য। যে কয়টা ম্যাচ খেলব, সব কটিতেই লড়াই করতে হবে। পাকিস্তান-ভারতের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের শুরুতে খেলতে হবে। তারাও খুব বেশি ম্যাচ খেলবে না বিশ্বকাপের আগে। আসলে নির্দিষ্ট দিনে আপনার ভালো করতে হবে।’
তবে পাকিস্তান সফর বাতিলের ধাক্কা লেগেছে নিউজিল্যান্ড দলেও, স্টিড বলছেন সেটাই, ‘আমার মনে হয় তারা ঠিক আছে এখন। পাকিস্তানের সঙ্গে যা ঘটেছে, সেটা অবশ্যই হতাশার। খেলোয়াড়েরা এতে বিচলিতও। পাকিস্তান ক্রিকেট ও তাদের সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে আমাদের।’
পাকিস্তান সফর বাতিল করার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ একাদশের কয়েকজন সেখানেই থেকে গেছেন। ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরার অধীনে অনুশীলন করছেন তাঁরা। বিশ্বকাপ দলের অন্য ৯ জনের সঙ্গে রিজার্ভ হিসেবে থাকা অ্যাডাম মিলনে খেলছেন আইপিএলে।
স্টিড বলছেন, পাকিস্তান সফর নিয়ে আপাতত ভাবছেন না তাঁরা, ‘এ সিদ্ধান্তটা আমাদের আওতার বাইরেই ছিল। দুবাইয়ে যারা আছে, তারা প্রস্তুত হচ্ছে এখন (বিশ্বকাপের জন্য)। আইপিএলেও খেলার সুযোগ পাচ্ছে। দলের প্রস্তুতিতেও এটা সহায়তাই করবে।’
সুপার টুয়েলভে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে পাকিস্তান-ভারত ছাড়াও আছে আফগানিস্তান। প্রথম পর্ব থেকে যোগ দেবে আরও দুটি দল। সে দুটি দলের একটা হতে পারে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টটা কিউইদের জন্য সহজ হবে না বলেই মানছেন স্টিড, ‘আফগানিস্তানের কয়েকজন রহস্য স্পিনার আছে, উইকেটে স্পিন থাকলে তারা খুবই ভালো করবে। অন্য যে দুটি দল আসবে, তাদের একটা খুব সম্ভবত বাংলাদেশ। এশিয়ার কন্ডিশনে তারাও কঠিন হবে।’