মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারতের চেয়ে এখনো এগিয়ে পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই সে পরিসংখ্যান পালাই পালাই করে। এ নিয়ে বিশ্বকাপে তো কম দেখা হয়নি দুই দলের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ১২ বার। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোল আউটে হারার আগে টাই করতে পেরেছিল পাকিস্তান। বিশ্বমঞ্চে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স হিসেবে সে ম্যাচের কথাই বলতে হয়।
২৪ অক্টোবর আবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান। দুবাইয়ে সুপার টুয়েলভের সে ম্যাচের আগে পাকিস্তানকে গোনায় ধরছেন না কেউ। হরভজন সিং যেমন বন্ধু শোয়েব আখতারকে খোঁচা মেরে বলছেন, ম্যাচ খেলার দরকার নেই। আগেই হার মেনে নিলেই পারে পাকিস্তান!
২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশ আইসিসির পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছিল। সে কারণে, বহুপ্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ছাড়াই শেষ হয়েছিল বিশ্বকাপ। আইসিসি এরপর আর কখনো ঝুঁকি নেয়নি। সব বিশ্বকাপেই কোনো না কোনোভাবে ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ থাকার ব্যবস্থা করেছে তারা। এবং এত ঘন ঘন ম্যাচ হওয়ার পরও পাকিস্তানের ভাগ্য বদলায়নি।
এবার সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ‘বি’তে দেখা হবে দুই দলের। আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড আছে এই গ্রুপে। আর প্রথম পর্ব থেকে বাংলাদেশ, স্কটল্যান্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির যেকোনো দুটি দল যোগ দেবে এখানে।
প্রতি বিশ্বকাপ বা আইসিসির যেকোনো টুর্নামেন্টের আগেই ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার স্পোর্টস ‘মওকা’ ‘মওকা’ বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করে। এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে আবার শুরু হয়েছে ‘মওকা’ ‘মওকা’ বিজ্ঞাপন। ভারতের প্রতিটি ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে খোঁচা মারা বিজ্ঞাপনে এবার শুরুটা হয়েছে পাকিস্তানকে নিয়ে। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে এবার খোঁচা দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।
সেই বিজ্ঞাপন দেখানো উপলক্ষেই শোয়েব আখতারকে খোঁচা মেরেছেন হরভজন। স্টার স্পোর্টসকে সাবেক ভারতীয় অফ স্পিনার বলেছেন, ‘আমি তো শোয়েব আখতারকে বলেছি, আমাদের সঙ্গে খেলার কোনো মানে আছে? ম্যাচটা ছেড়ে দিলেই (ওয়াকওভার) পারেন।’
প্রতিটি বিশ্বকাপের চেনা চিত্রনাট্যটার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘আমাদের সঙ্গে খেলবেন, আবার হারবেন এবং আবার হতাশ হবেন। কী দরকার? শোয়েব আখতার, কোনো সুযোগ নেই। আমাদের একদম নিখাদ একটা দল আছে, খুবই শক্তিশালী একটা দল। আপনার দলকে উড়িয়ে দেবে।’
বিশ্বকাপে কখনো না জিতলেও, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অবশ্য পাকিস্তানই এগিয়ে। পাঁচবার মুখোমুখি হয়ে তিনবার জিতেছে দলটি। ২০১৭ সালের ফাইনালে তো ১৮০ রানের জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপেই বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৮৯ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে শোধ তুলেছে ভারত।