বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক

‘পাওয়ার প্লে’তে সমাধান হতে পারে আফিফ

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান হোসেন

ওমানের সঙ্গে জেতার পর এখন ‘বি’ গ্রুপে রানরেটে তিনটি দলই (বাংলাদেশ, ওমান ও স্কটল্যান্ড) কাছাকাছি অবস্থানে আছে। তাই আজ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচটা যদি আমরা জিততে পারি, তাহলেই সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত। ওমান–স্কটল্যান্ড ম্যাচে যদি ওমান জিতে যায়, বাংলাদেশ যদি পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জেতে, তাহলে আমাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগও থাকছে।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারব কি না, সেটি পরের ব্যাপার। তবে আমার মনে হয়, পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আমাদের বড় ব্যবধানেই জেতা উচিত। আমি সব সময়ই বলি, মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রেখে খেললেই সহযোগী সদস্যদেশগুলোর বিপক্ষে জেতা সম্ভব। অন্য দলগুলোর চেয়ে পাপুয়া নিউগিনিকে একটু দুর্বলই মনে হচ্ছে, তাই আমরা নিজেদের খেলাটা খেললেই ভালোভাবেই জিতব আশা করি।

ওমানের বিপক্ষে ম্যাচে একাদশে ফিরেই অর্ধশতক করেছেন বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম

সুপার টুয়েলভের আগে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচটিই আমাদের শেষ ম্যাচ। তাই এতে কিছুটা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা যেতেই পারে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, এ ম্যাচে আফিফ হোসেনকে ওপেনিংয়ে পাঠিয়ে দেখা যেতে পারে। আমি মনে করি, আফিফ ওপেনিংয়ে ভালোই করবে। সে পেস বোলিং খেলতে পছন্দ করে, তুলেও মারতে পারে। পাওয়ার প্লেতে রান না আসার যে সমস্যা, সেটি আফিফকে দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে। তা ছাড়া ওকে যে জায়গায় ব্যাটিংয়ে নামানো হচ্ছে, সেখানে তাঁর পক্ষে ভালো কিছু করা একটু কঠিনই হয়ে যাচ্ছে।

আফিফকে ওপেনিংয়ে দিলে তাঁর সঙ্গী কে হবে? অবশ্যই মোহাম্মদ নাঈম। লিটন দাস একেবারেই ফর্মে নেই। তাঁকে কিছু দিন বিশ্রামই দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। অনেক সময় বিশ্রাম ক্রিকেটারদের ফর্মে ফেরার ব্যাপারে টনিক হিসেবে কাজ করে। লিটনের সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু স্কটল্যান্ড আর ওমানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ দেখে আমার মনে হয়েছে লিটন প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগছে।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন

আফিফকে ওপরে তুলে আজ শামীম হোসেনকে একাদশে খেলানো যেতে পারে। আফিফের কাছে যে জিনিসটি চাওয়া হচ্ছে, সেটি শামীম পারবে বলেই আমার ধারণা। সে ভালো হিটার। তা ছাড়া পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে শামীমকে খেলিয়ে ওর আত্মবিশ্বাস তৈরি করা যেতে পারে। আমি চাইব আজ শামীম একাদশে থাকুক।
পরিবর্তন বোলিংয়েও দরকার। তাসকিন আহমেদ গত দুটি ম্যাচেই খুব খরচে ছিল। আজ শরীফুলকে তাসকিনের জায়গায় সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। নাসুমকেও সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। একাদশে তিনটা পরিবর্তন পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ভালোই কাজে দিতে পারে।

ওমানের বিপক্ষে ম্যাচটা পরীক্ষা হয়েই এসেছিল। সেটিতে ভালোভাবেই উতরে গেছে বাংলাদেশ। আমি একটা কথা সব সময়ই বলি। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পাওয়ার হিটার নেই। তাই আমাদের এই সংস্করণে মৌলিক ক্রিকেটেই মনোযোগী হওয়া উচিত। প্রথার বাইরে গিয়ে শট খুব বেশি খেলার চেষ্টা করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দরকার নেই তো। যেহেতু আমাদের হাতে জোরে হিট করার মতো শক্তি নেই, তাই আমরা গ্যাপ বের করেই খেলি। ছক্কার চেয়ে চারে মন দিই। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাকরণগত ক্রিকেট খেললেই আমরা আনায়াসেই জিততে পারতাম—এটা আমি বিশ্বাস করি। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষেও সেটিই হোক।