বাবর আজমের পাশাপাশি পাকিস্তানের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে আরেক বড় তারকা মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাঁর পারফম্যান্সই তা বলবে। দুই বছর ধরে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট কিংবা সীমিত ওভার—রিজওয়ানকে ছাড়া এ মুহূর্তে পাকিস্তান দল ভাবতেও পারেন না নির্বাচকেরা। গত বছরের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার পেছনে রিজওয়ানের পারফরম্যান্সের বড় ভূমিকাই ছিল।
রিজওয়ানের সমসাময়িক ক্রিকেটারই ভারতের ঋষভ পন্ত। দুজনই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। দুজনের ব্যাটেই বিনোদনের অনুষঙ্গ খুঁজে নেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পন্তও দু-তিন বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অংশ। এরই মধ্যে নিজেকে ম্যাচজয়ী ক্রিকেটার হিসেবেও প্রমাণ করেছেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে পন্তের ব্যাট দারুণভাবেই কথা বলেছিল। ব্রিসবেনে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে পন্তই আসলে জিতিয়েছিলেন ভারতকে।
ভারত-পাকিস্তান দুই দেশ চিরবৈরী। তুলনা এসেই যায়। ক্রিকেটে এটি যেন আরও বেশি। বিরাট কোহলির সঙ্গে তো প্রতিনিয়ত তুলনা চলে বাবর আজমের। দুজনের মধ্যে কে এগিয়ে—তুলনাটা চলছে রিজওয়ান আর পন্তের মধ্যেও। পাকিস্তানের সাবেক পেসার ও ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য আকিব জাভেদ অবশ্য মনে করেন, রিজওয়ান পন্তের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন।
পাকিস্তানের এআরওয়াই নিউজকে আকিব নিজের মতামতের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘রিজওয়ান ইদানীং পন্তের চেয়ে ভালো করছে। পন্তও খুব প্রতিভাবান, দুর্দান্ত ক্রিকেটার। কিন্তু রিজওয়ান তো দায়িত্ব নিচ্ছে। দায়িত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে পন্ত এখনো কিছুটা পিছিয়ে। সে খুবই আগ্রাসী ক্রিকেটার। কিন্তু আগ্রাসন মানে তো এই নয় যে দুটি বড় বড় শট খেলে তৃতীয় বলেই আপনি ফিরে গেলেন। আগ্রাসন ও মানসিক দৃঢ়তা মানে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে খেলে দলকে জিতিয়ে ফেরা।’
রিজওয়ান এখন পর্যন্ত ২২টি টেস্ট, ৪৪টি ওয়ানডে আর ৫৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে তাঁর রান ১১১২, ওয়ানডেতে ৮৯৭ আর টি-টোয়েন্টিতে ১৬৬২। ২০ ওভারের ক্রিকেটে রিজওয়ানের ব্যাটিং গড় রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতোই—৫০.৩৬। পন্ত ভারতের হয়ে ৩০টি টেস্ট, ২৪ ওয়ানডে আর ৪৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। রান যথাক্রমে ১৯২০, ৭১৫ আর ৬৮৩।
কোহলিকে নিয়েও মন্তব্য করেছেন আকিব। তাঁর মতে, কোহলি নিজের ক্যারিয়ারের চূড়া পার করে এসেছেন আগেই, ‘কোহলি এখন তার ব্যাটিং ফর্মের চূড়ায় নেই। সেটি সে পার করে এসেছে আগেই। এখন তার ফর্ম পড়তির দিকে, অন্যদিকে বাবর এখন চূড়ার পথে।’