সাউদাম্পটন টেস্ট দিয়ে ফিরেছে করোনা-পরবর্তী ক্রিকেট। অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য পরিবর্তিত নিয়মে ইংলিশ ও ক্যারিবীয় বোলাররা কেমন করেছেন, বিশ্বের আরও অনেক পেসারের মতো সেটি সূক্ষ্মভাবে দেখেছেন দুই সাবেক ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান ও আশীষ নেহেরা।
সাউদাম্পটন টেস্ট শেষে বেশি আলোচিত হচ্ছে ইংল্যান্ডের বোলারদের, বিশেষ করে জেমি অ্যান্ডারসনের প্রত্যাশিত রিভার্স সুইং না পাওয়া। অ্যান্ডারসনের রিভার্স সুইং না পাওয়ার কারণ হিসেবে নেহেরা বলছেন, 'সময়ে সময়ে অ্যান্ডারসন খাটো লেংথে বোলিং করেছে। এত খাটো লেংথে সে কিন্তু বোলিং করে না। ডিউক বল সুইং করছিল না। থুতু না লাগাতে পারায় বল ভালোভাবে উজ্জ্বল করতে পারেনি। যখন সে বল তোলার চেষ্টা করেছে তখন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা আরামে ড্রাইভ খেলেছে। যেহেতু লালা বা থুতু ব্যবহার করতে পারছেন না, ঘামের ব্যবহার ভালো না হলে তখন সমস্যা মনে হবে। সুইং না করাতে পারলে নিজের অর্ধেকে নেমে আসে অ্যান্ডারসন।'
রোদে পঞ্চম দিনে মার্ক উড আর জফরা আর্চার যেভাবে বোলিং করেছেন, ইরফান মনে করছেন, কখনো কখনো রিভার্স পাওয়ার বিষয়টিই ভুলে যাওয়া উচিত বোলারদের, 'লালা যেহেতু ঘন, এটা রিভার্স সুইং পেতে বেশি সহায়তা করে। এখন মহামারি চলছে, নিয়মও আছে, বোলারদের জন্য কাজটা কঠিনই হবে। সমাধান সহজ, বাইরের কিছু ব্যবহার করতে দিন অথবা ভুলে যান রিভার্স সুইং বলে কিছু আছে। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, বোলারদের ৬০/৪০ সুবিধা দিতে কিছুটা আর্দ্রতা রাখুন। আর্দ্রতা থাকলে উইকেটে বল গ্রিপ করবে। তখন ঘাম-লালা হিসাবের বাইরে চলে যাবে। সিমে হিট করুন, বল মুভ করবে।'
এখন অ্যান্ডারসনরা নেহেরা-ইরফানের বুদ্ধি কাজে লাগাতে পারেন কিনা, ১৬ জুলাই শুরু ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট থেকে বোঝা যাবে।