>বল টেম্পারিংয়ের দায়ে ১২ মাস নিষিদ্ধ স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ক্যামেরন ব্যানক্রফটের নিষেধাজ্ঞা ৯ মাসের। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সংগঠন বোর্ডের কাছে এই তিন ক্রিকেটারের শাস্তি কমানোর আবেদন করে ব্যর্থই হয়েছে
বল টেম্পারিং ইস্যুতে নিজেদের শক্ত অবস্থান থেকে এক চুলও নড়ছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সংগঠন বল টেম্পারিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ তিন ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার আর ক্যামেরন ব্যানক্রাফটের নিষেধাজ্ঞা সংক্ষিপ্ত করার যে আবেদন করেছিল সিএ সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সিএ’র অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান আর্ল এডিংস বলেছেন, তিন ক্রিকেটারকে যে মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে কোনো প্রকার কাটছাঁট না করার ব্যাপারে বোর্ড সদস্যরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বল টেম্পারিং করায় অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটারকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেয়। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও সহ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে ১২ মাস আর ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের ছাড়া গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ফল খুবই বাজে। এ অবস্থায় সিএর ওপর বল টেম্পারিংয়ের কারণে ক্রিকেটারদের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পুনর্বিবেচনা করে দেখার ব্যাপারে বেশ চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এ ব্যাপারে নিজেদের শক্ত অবস্থানের কারণে নতুন মৌসুমে ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজগুলো অস্ট্রেলিয়াকে খেলতে হবে তাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই।
বল টেম্পারিং ইস্যুতে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখেই পড়তে হয়েছে সিএকে। অনেকেই এই অপরাধের মূল খুঁজতে গিয়ে দায় দেখছেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের উদ্ধত সংস্কৃতির। তারা মনে করেন সিএর কর্মকর্তাদের উদ্ধত ও স্বৈরতান্ত্রিক আচরণরে কারণেই খেলোয়াড়েরা যেকোনো মূল্যে জয়ের জন্য অসৎ পথ বেছে নিচ্ছে। অভিযোগ ওঠায় এই ইস্যুতে পদত্যাগ করেছেন সিএর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও।
গত মাসে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের সংগঠন সিএর কাছে ক্রিকেটারদের শাস্তি কমানোর আবেদন জানিয়ে বলেছিল, তাদের যথেষ্ট শাস্তি হয়েছে। কিন্তু সিএ এর জবাবে জানিয়েছে, অপরাধের সঙ্গে সংগতি রেখেই খেলোয়াড়দের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং সে শাস্তি মাফ করে দেওয়া বা সংক্ষিপ্ত করার প্রশ্নই ওঠে না।
এ ব্যাপারে আর্ল এডিংস বলেছেন ক্রিকেটারদের শাস্তির সঙ্গে দেশে-বিদেশে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদা জড়িয়ে আছে, ‘সিএ মনে করে শাস্তির মেয়াদ ও ধরনের ওপর দেশে-বিদেশে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদার সঙ্গে সংগতি রেখেই ঠিক করা হয়েছে। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটরা এখন ক্রিকেটের চেতনার প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সিএ তাদের ক্রিকেটে ফেরাটা যেন যতটা সম্ভব মসৃণ হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’