সতীর্থ এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাঁচ বছরের জন্য। কিন্তু বিসিবির বিশেষ বিবেচনায় শাস্তির ১৮ মাসের মাথায়ই আজ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ দিয়ে মাঠে ফিরলেন পেসার শাহাদাত হোসেন। তবে ফেরাটা তাঁর তেমন ভালো হয়নি। পারটেক্সের জার্সিতে ওল্ড ডিওএইচএসের বিপক্ষে ২ ওভারে দেন ১৬ রান, উইকেট পাননি একটিও।
২০১৯ সালের নভেম্বরে জাতীয় লিগের ম্যাচে সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নিষিদ্ধ হন শাহাদাত। ২ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় জাতীয় দলের হয়ে ৩৮টি টেস্ট, ৫১ ওয়ানডে ও ৬টি টি–টোয়েন্টি খেলা এই পেসারকে।
আকরাম ভাই আমাকে বলেছেন, তুই খেলতে পারবি, কোনো সমস্যা নেই।শাহাদাত হোসেন
নিষেধাজ্ঞার দেড় বছর পার না হতেই গত মার্চে শাস্তি কমানোর আবেদন করেন শাহাদাত। ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার খরচ চালাতে ক্রিকেটে ফিরতে চান জানিয়ে বিসিবিকে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করেন তিনি। বিসিবিও সেই আবেদনে সাড়া দেয়। তুলে নেওয়া হয় শাহাদাতের নিষেধাজ্ঞা।
আজ নিজের ফেরার ম্যাচের পর শাহাদাত বলেছেন, ‘আকরাম ভাই (বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান) আমাকে বলেছেন, “তুই খেলতে পারবি, কোনো সমস্যা নেই।” সবার সহযোগিতাতেই আমি আবার মাঠে ফিরেছি।’
প্রত্যাবর্তন ম্যাচে বেশ ভয়েই ছিলেন শাহাদাত। নিজের ফিটনেস, পারফরম্যান্স কোন অবস্থায় আছে, এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা ছিল না এই অভিজ্ঞ পেসারের। মাঠে নেমে তাই স্নায়ুর চাপ পেয়ে বসেছিল তাঁকে, ‘একটু নার্ভাস ছিলাম। অনেক দিন পর খেলেছি। ম্যাচ ফিটনেস তো আলাদা জিনিস। এ ক্ষেত্রে একটু সমস্যাই হয়েছে।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমার লাইন-লেংথ ঠিক ছিল। তবে গতি ওঠানামা করেছে। আশা করি, আগামী ম্যাচে ঠিক হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে আমি কিছুটা ভয়ে ছিলাম। কী করতে গেলে কী হয়, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম।’
৩৪ বছর বয়সী শাহাদাত সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে। চোট পেয়ে সেই টেস্টের মাঝপথে ছিটকে পড়েন তিনি। এরপর দেশের জার্সিতে আর দেখা যায়নি শাহাদাতকে।
কিন্তু জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটা এখনো দেখেন তিনি, ‘যত দিন ফিট থাকব, তত দিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলব। আমার ইচ্ছা আবার টেস্ট দলে ফেরা। সতীর্থরাও বলে, আমার ফেরার সামর্থ্য আছে। বলে, টেস্ট দলে মিস করে। তাসকিন কিন্তু ফিরেছে। আমিও চেষ্টা করব।’