সিলেট টেস্টে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের সামনে এখন সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। সিলেটে ভালো খেলা আরিফুলের বিশ্বাস, তাঁরা ঘুরে দাঁড়াবেন ঢাকা টেস্টে। তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করছে আরও একটি বিষয়।
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী? মুখ ঘুরিয়ে হয়তো বলবেন, ‘কিচ্ছু না’! আসলেই তো! জিম্বাবুয়ের কাছে বাজেভাবে হারের পর প্রাপ্তির আর কী থাকে? তবে কিছু প্রাপ্তি অবশ্যই আছে। তাইজুল ইসলামের ১১ উইকেট আর অভিষিক্ত আরিফুল হকের দুটি ইনিংস; যে ইনিংস দুটিতে আরিফুল অন্তত কিছুটা প্রতিশ্রুতি দিতে পেরেছেন। দুজনই নিরাশার মধ্যে জ্বালিয়েছেন আশার প্রদীপ। এই আরিফুলই যখন যখন আশা দেখান, বাংলাদেশ ঢাকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে, আশাবাদী তো হতেই হয়।
সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে হতাশার হারের পর আরিফুল সিরিজ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখছেন, কারণ, দলে যে ফিরতে পারেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলের সেরা উইকেটশিকারি ফিরলেই ঢাকা টেস্টে অন্য বাংলাদেশকে দেখা যাবে বলেই বিশ্বাস আরিফুলের, ‘আমাদের কোনো চাপ নেই। আমাদের মূল বোলার মোস্তাফিজ খেলেনি (সিলেট টেস্টে)। মোস্তাফিজ ফিরলে আমরা ম্যাচ জিততে পারব, সমস্যা হবে না। আমরা ইতিবাচক আছি, আমাদের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ, যেভাবেই হোক ম্যাচটা জিততে হবে।’
তবে কাজটা যে মোটেও সহজ হবে না সেটি স্বীকার করে নিচ্ছেন আরিফুল, ‘যদি শেষ ম্যাচ নিয়ে বেশি চিন্তা করি তাহলে মানসিকভাবে অনেক পিছিয়ে থাকব। আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করব না। আমরা ম্যাচের প্রতিটি বলে মনোযোগ রাখব। সবাই একটা দল হয়ে খেলতে পারলে ম্যাচ জেতা কঠিন হবে না।’
গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ দলে আছেন। কিন্তু বেশির ভাগ ম্যাচেই কেটেছে সাইড বেঞ্চে বসে। ম্যাচ না খেলার সুযোগ পেয়ে সাময়িক মন খারাপ হলেও একাদশে বাইরে থাকার একটি ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন আরিফুল, ‘জাতীয় দলে না খেললেও দলের সঙ্গে থাকলে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। বড় দলের সঙ্গে খেলা বা বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা, বড় ভাইয়েরা যখন কিছু বলেন, এসব অনেক কাজে দেয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেমন সেটি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।’ ম্যাচের পর ম্যাচে বসে থেকেও কীভাবে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেছেন সেটিও জানালেন আরিফুল, ‘কোন ম্যাচে খেলব, কোনটি খেলব না, সেটি আমার হাতে নেই। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করি। আমি না খেললেও যেটা আমার করণীয় সেটা করে যাব। টেস্টে রান করেছি, কিন্তু এটা ভুলে যেতে চাই। পেছনে যা খেলেছি সেটা ভুলে সামনে এগোতে চাই।’
শুরুতে আরিফুলকে ভাবা হয়েছিল ছোট দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেই তিনি উপযুক্ত। অথচ তিনি টেস্ট অভিষেকেই প্রমাণ করলেন, বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেও তাঁকে বিবেচনা করা যেতে পারে। আরিফুল চান, নির্দিষ্ট কোনো সংস্করণ নয়, খেলতে চান সব ধরনের ক্রিকেটই, ‘আমার আসলে স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলার। আমি চাই দীর্ঘ সময় টেস্ট দলে বা জাতীয় দলে থাকতে। আমার সব সংস্করণেই খেলার ইচ্ছে। যে সংস্করণে যেভাবে খেলা দরকার সেভাবেই চেষ্টা করি।’