জাতীয় দলেই যে খেলতে হবে তা নয়। ঘরোয়া পেশাদার ক্রিকেটারদেরও এমন হয়। খেলা ছাড়ার পর কখনো কখনো ঘরে জমিয়ে রাখা নিজের 'অস্ত্রভান্ডার'-এ চোখ পড়ে। মনটা তখন অতীতমেদুর হয়? সে তো বটেই। মার্ক ওয়াহরও হয়েছে ঠিক তাই। শুধু তিনি একা কেন, করোনাভাইরাসের মতো তা সংক্রমিত হলো আরও অনেকের মধ্যে।
নিজের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে কাল একটি পোস্ট করেন ওয়াহ। মোট ৯টি পুরোনো ব্যাটের একটি ছবি পোস্ট করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ ওপেনার। আশির শেষে ও নব্বই দশকের শুরুতে জনপ্রিয় ব্যাট সাইমন্ডস সুপার টুসকার এবং স্লেজনার ভি ১০০ থেকে ভি৮০০ সিরিজের ব্যাটের ছবি পোস্ট করেন তিনি। বর্তমান এবং সাবেক ক্রিকেটার থেকে খেলা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এমনকি তাঁর ভক্তদের মধ্যেও এ নিয়ে হইচই পড়ে যায়। প্রায় ১১০০ মন্তব্য, ২০০০ রি-টুইটের পাশাপাশি ৩১০০০ ‘লাইক’ পেয়েছে ওয়াহর এই পোস্ট।
ছবির ক্যাপশনে ওয়াহ লেখেন, 'গ্যারেজ পরিষ্কার করতে গিয়ে এত বছর ব্যবহার করা নিজের অস্ত্রভান্ডার বের করলাম। ডান পাশ থেকে দ্বিতীয়টি আমার সবচেয়ে পছন্দের। সাইমন্ডস সুপার টুসকারকেও দেখুন, তক্তা মনে হলেও তখন ওটা দুর্দান্ত ছিল।' ওয়াহর এ পোস্টে নিজের দুঃখের কথা জানান সাঙ্গাকারা।
শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তির মন্তব্য, 'আমারও ছবি দিতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঘরে কোনো ব্যাট নেই আমার। ক্যারিয়ারে যেগুলো ব্যবহার করেছি তার একটাও নেই। সবগুলো দিয়ে দিয়েছি।’
ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মন্তব্য করেন, ‘শেষ দিকে এর কোনো একটা দিয়ে খেলেছ?' অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে অন্যতম স্টাইলিশ এ ব্যাটসম্যান জবাব দেন, 'না। অনেক দিন ধরেই এগুলো তুলে রাখা হয়েছিল। দাবানলের ম্যাচে খেলেছিলাম, কিন্তু নামার আগেই তো বৃষ্টিতে খেলা ধুয়েমুছে গেল। আশা করি ভারতে তোমরা ভালোই আছ।’
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের মন্তব্য, 'জুনিয়র...তোমার এ ব্রিটিশ বন্ধুটির জন্য তো একটা (ব্যাট) থাকবেই। মনে আছে ৯০ দশকে আমি তোমার একটা (ব্যাট) অনুকরণ করেছিলাম।' ওয়াহ জবাব দেন, 'যদ্দুর মনে পড়ে তুমি জিএম (ব্যাট) ব্যবহার করতে। ইয়র্কশায়ারে স্লেজনারের কারখানা থাকার পরও বিষয়টি আশ্চর্যের।'
ওয়াহর এই পোস্ট অতীতমেদুর করেছে আরও অনেককে। তাঁর দেখাদেখি অনেকেই নিজের পুরোনো ব্যাটের ছবি পোস্ট করেন টুইটারে। করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে ঘরে বেকার সময় কাটছে ক্রিকেটারদের। অলস এ সময়ের সদ্ব্যবহারে অনেকেই ক্যারিয়ারের পুরোনো অনেক স্মৃতি ভাগ করেছেন নিচ্ছেন অনুসারীদের সঙ্গে। ওয়াহর এই ছবি নিঃসন্দেহে 'নষ্টালজিক' করে তুলবে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমীকে।